RG Kar News Update: ডিভিশন বেঞ্চে হারের পরও ধর্মতলায় চিকিৎসকদের ধর্না মঞ্চ নিয়ে 'অতিসক্রিয়' পুলিশ। ধর্না মঞ্চের পাশে চেয়ার রাখা নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বচসা হয় পুলিশকর্মীদের একাংশের। চেয়ার সরিয়ে নিতে বললে চিকিৎসকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় পুলিশের। অথচ হাইকোর্টের অনুমতি নিয়েই ধর্মতলায় ধর্নায় বসেছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে আর জি কর-কাণ্ডে CFSL-রিপোর্ট ঘিরে শুরু হয়েছে তোলপাড়। আদৌ ক্রাইম সিন কোনটা তা নিয়েই উঠেছে বড় প্রশ্ন। আর এই আবহেই বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ। ধর্মতলায় ধর্নার মধ্যেই এবার নিরন্তর জ্বলবে দ্রোহের মশাল। ধর্মতলায় আজ রাত ৮টায় বিচারের দাবিতে জ্বলবে মোমবাতি। বিচার না মেলা পর্যন্ত মশাল জ্বালিয়ে রাখার অঙ্গীকার চিকিৎসকদের।


এদিকে সিঙ্গল বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চেও হার রাজ্যের। চিকিৎসকদের অবস্থান বিক্ষোভ নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। কর্মসূচি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। চিকিৎসকদের আবেদন অনুযায়ী ১০০ জন চিকিৎসক অবস্থান স্থলে থাকতে পারবেন। ২৫ তারিখ অবস্থান বন্ধ রাখা সম্ভব কিনা আদালতে জানাবে চিকিৎসক সংগঠন। আর জি করের ঘটনা নজিরবিহীন, অকল্পনীয় এবং ভয়ঙ্কর, মন্তব্য বিচারপতি হরিশ টন্ডনের। 


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ধর্মতলায় চিকিৎসকদের অবস্থান-বিক্ষোভের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছিল রাজ্য। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। ২০ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। 'আগামী ২৪ এবং ২৫ ডিসেম্বর কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দিক আদালত। তার পরিবর্তে ২৭ এবং ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হোক', আবেদনে জানায় রাজ্য। 'সিবিআই যদি সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সিবিআই চার্জশিট না দেয় তাহলে ডোরিনা ক্রসিংয়ে কেন? সিবিআই অফিসে যান, সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করুন। সুপ্রিম কোর্ট মামলার নজরদারি করছে, এই অবস্থায় কি রোজ ধর্না করা যায়? প্রত্যেকবার উৎসবের সময় এই ধরনের কর্মসূচি করা হচ্ছে। এটা বড়দিনের সময়, যারা বড়দিন উদযাপন করতে আসবে তাদের কি কোনও অধিকার নেই? সবসময় মেট্রো চ্যানেলে কেন? পিছনে ওয়াই চ্যানেলে কেন নয়? ছবি দেখুন, এই কর্মসূচির ফলে যানজট হচ্ছে। এটা ধর্না হচ্ছে ? গান হচ্ছে, নাচ হচ্ছে, ১১ টা- ১২ টার সময়। রাজ্যকে তো অন্যদের মৌলিক অধিকারের কথাও ভেবে দেখতে হবে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে স্থগিতাদেশের আর্জিতে সওয়াল রাজ্যের। 

'যদি কর্মসূচিতে লোক আসে, তাহলে রাজ্যের অসুবিধা কোথায় ? আদালতের নির্দেশে গার্ড রেল দেওয়া আছে। সবাই গার্ড রেলের মধ্যেই আছে। পথচারীদের কোনও অসুবিধা বা যানজট হচ্ছে না, সওয়াল মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যর। মানুষ বড়দিনে পার্কস্ট্রিটে যায়, কখনই ডোরিনা ক্রসিংয়ের দিকে আসে না। কিছু রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হলে রাজ্য এই প্রশ্ন তোলে না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের জন্য কোনও অনুমতির প্রয়োজন নেই', সওয়াল চিকিৎসকদের। 


আরও পড়ুন- 'পশ্চিমবঙ্গকে জঙ্গিদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, এগিয়ে বাংলা মডেল সার্থক'