সুমন ঘড়াই, কলকাতা: হাইকোর্টের পর কলকাতা পুলিশের ওপর ভরসা রাখতে পারল না সুপ্রিম কোর্টও। এবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে তুলে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই আবহেই এবার রাজ্য জুড়ে হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা বাড়াতে নির্দেশ।                                               


জানা গিয়েছে, জেলায় জেলায় এসপি, সিপি-দের নির্দেশিকা এডিজি আইনশৃঙ্খলার। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, 'জেলায় জেলায় হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস, সেনা, নৌসেনা, বায়ুসেনা অফিসারদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস, সেনা, নৌসেনা, বায়ুসেনা অফিসারদের নাম-পরিচয়-ফোন নম্বর সংগ্রহ করে পাঠানোর নির্দেশ। প্রয়োজনে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস, সেনা, নৌসেনা, বায়ুসেনা অফিসারদের সশরীরে কাজে লাগানোর ভাবনা রাজ্যের।                           


এদিন বিভিন্ন বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের কড়া প্রশ্নবাণের মুখে পড়ে পুলিশ-প্রশাসন। স্বাধীনতার রাতে মেডিক্যাল কলেজে ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে চিকিৎসকদের আইনজীবীরা বলেন ভাঙচুরের ঘটনার পর, চিকিৎসকরা আতঙ্কিত। তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। অনেকেই কাজে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন। এরপরই উদ্বেগপ্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় রাজ্য সরকারের উদ্দেশে বলেন, কীভাবে হামলার ঘটনা ঘটল? হাসপাতালে কী করে বহিরাগতরা ঢুকে অবাধে ভাঙচুর চালাল? কোথায় ছিল পুলিশ? কী করছিল তারা? অপরাধের জায়গা সুরক্ষিত রাখা পুলিশের কর্তব্য। তা কেন করেনি পুলিশ? শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কী করে ঢুকে গেল ৭ হাজার দুষ্কৃতী? পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি। 


আরও পড়ুন, সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েও কীভাবে এত দাপট? সঞ্জয়ের নাম জিজ্ঞেস করতেই দৌড় ASI-এর


এরপরই তিনি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তার দায়িত্ব, CISF-কে দেওয়ার নির্দেশ দেন। আইনশৃঙ্খলা রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারভূক্ত বিষয়। কিন্তু এবার রাজ্য়ের রাজধানীর বুকে একটি মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তার দায়িত্ব বেনজিরভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হল সুপ্রিম কোর্টকে। এই ঘটনা তৃণমূল সরকারের কাছে চরম লজ্জার বলে কটাক্ষ করছে বিরোধীরা।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে