শৌভিক মজুমদার : ধর্না চালাতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ চিকিৎসক সংগঠনকে মামলা দায়েরের অনুমতি হাইকোর্টের। ১২:৩০ টায় বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের এজলাসে শুনানির সম্ভাবনা। সিজিও কমপ্লেক্স, নিজাম প্যালেস ও নবান্নেও আজ যাচ্ছেন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের প্রতিনিধিরা। ইতিমধ্য়েই, আজ দুপুর ৩টেয় সাক্ষাতের সময় চেয়ে CBI-এর তদন্তকারী অফিসার সীমা পহুজাকে ইমেল চিকিৎসকদের সংগঠনের। নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েও চিঠি পাঠিয়েছেন চিকিৎসকরা। নিজাম প্য়ালেসে তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে দেখা করার জন্য়ও ডাক্তারদের তরফে দেওয়া হয়েছে চিঠি। 


হাইকোর্টের অনুমতি মেনেই ধর্মতলার ধর্না শুরু করেছিল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। আজ ২৬ ডিসেম্বর তার শেষদিন। তবে ধর্ণা চালু রাখতে চেয়ে মামলা করার আবেদন জানিয়েছিল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। তাতেই অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। মামলা করতে পারবে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। মাননীয় বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাস এই অনুমতি দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে আইনি প্রক্রিয়া। যদি আইনি প্রক্রিয়ায় কোনও কিছু অসম্পন্ন থাকে তাহলে আজ নয় বরং আগামী সোমবার হবে শুনানি। কিন্তু আইনজীবীরা চাইছেন, সব কাজ সম্পন্ন করে বিচারপর্ব আজই শুরু করার। 


পুলিশের কাছে ইমেল মারফৎ ধর্না চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল ডাক্তারদের তরফে। কিন্তু পাল্টা পুলিশের তরফে অনুমতি খারিজ করা হয়। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। এই বিষয়ে মাননীয় বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। মামলা করার যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে বেলা ১২টা ৩০ মিনিট নাগাদ বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের এজলাসে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। আর নাহলে সোমবার ৩০ ডিসেম্বর শুনানি হবে বলে শোনা গিয়েছে। 


অন্যদিকে আর জি কর কাণ্ডে CFSL-রিপোর্টে নতুন করে তৈরি হয়েছে সন্দেহ 


সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবের ১২ পাতার রিপোর্টের একদম শেষ পাতায় দু'টি পয়েন্টে বলা হয়েছে যে জায়গায় দেহ পাওয়া গিয়েছে, অর্থাৎ আর জি কর হাসপাতালের সেমিনার হলের যে ম্যাট্রেসের উপর নির্যাতিতার দেহ পড়েছিল, সেখানে ধস্তাধস্তির কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। 'পসিবল স্ট্রাগল' যেখানে হওয়ার কথা ছিল, সেখানেই তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র যে ম্যাট্রেসে তথ্যপ্রমাণ নেই তাই নয়, সেমিনার হলের ওই সংলগ্ন এলাকাতেও কোনও ধস্তাধস্তির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আর তাতেই উঠছে প্রশ্ন। এতদিন সকলে আর জি কর কাণ্ডে যে জায়গাকে 'ক্রাইম সিন' বলে জেনে এসেছিলেন, সেই চিন্তাভাবনাই বদলে দিচ্ছে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবের রিপোর্ট। 


আরও পড়ুন- অফিসে টাইমে ফের ব্যাহত মেট্রো পরিষেবা, দক্ষিণেশ্বর থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত বন্ধ চলাচল 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।