প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের 'রহস্য মৃত্যু'র পর উদ্ধার হওয়া দেহ ঘিরে একের পর এক তথ্য প্রকাশ্যে আসে। রাত ২টোর পরে ঠিক কী হয়েছিল? কীভাবে মৃত্যু? তা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও। তবে পোস্টমর্টেম রিপোর্টে বলা ছিল যস্ত, দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল, ছিল ক্ষতও। সেই ক্ষতর প্রমাণ মেলাতে এবার আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের 'Teeth Impression' নিল সিবিআই।



বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে সঞ্জয় রায়ের কামড়ের নমুনা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিভিন্ন ভাবে কামড়ের দাগ সংগ্রহ করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। 'নিহত চিকিৎসকের শরীরে মিলেছিল একাধিক ক্ষত চিহ্ন', উল্লেখ করা হয়েছিল ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। সেই সূত্র ধরেই এদিন 'Teeth Impression' সংগ্রহ করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের ইঙ্গিতও উল্লেখ করা হয়েছিল।       


আরও পড়ুন, 'জীবন্ত ভগবানদের মিষ্টি নিবেদন করতে এসেছি', জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়ালেন সাধারণ মানুষ


এর আগে RG কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে সঞ্জয় রায় একাই খুন করেছে? নাকি এই পাশবিক ঘটনায় আরও কেউ জড়িত? জানতে এবার সঞ্জয়ের DNA ম্যাপিং করিয়েছিল পুলিশ। সূত্রের খবর, পড়ুয়া-চিকিৎসকের থেকে যে সিমেন স্যাম্পল বা দেহরসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তার সঙ্গে সঞ্জয়ের রক্তের নমুনা মিলিয়ে দেখতে DNA ম্যাপিং করা হয়। এর থেকে অনেকটা স্পষ্ট হতে পারে, সঞ্জয় একাই আততায়ী, নাকি এই মহিলা চিকিৎসককে যৌন নির্যাতন ও নৃশংস খুনের নেপথ্যে আরও কারও যোগ রয়েছে।


যদিও চিকিৎসককে খুন-ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে সে জড়িত নয়। ধৃত সঞ্জয় রায় এই দাবি করেছেন বলে জানালেন তাঁর আইনজীবী। সেমিনার রুম থেকে দৌড়ে বেরনোর সময় তার হেডফোন পড়ে গিয়েছিল বলে দাবি করেছে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার। যদিও সিসিটিভিতে  দেখা যায়, ঘটনার দিন ভোর ৪টে নাগাদ চেস্ট মেডিসিন বিভাগের করিডর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে অভিযুক্ত। যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।                                                


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে