কলকাতা : কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠক বামপন্থী চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর এই বৈঠকই বৃহস্পতিবার রাত থেকে আলোচনার কেন্দ্রে। কী কথা হল দুজনের ? কাদের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়েছিলেন তিনি ? এই নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। তারই মধ্যে নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ডা. বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ' তাঁর কাছে আমি কিছু জিনিস জানার জন্য গিয়েছিলাম। আমাদের শাসকের অবস্থানটা ক্লিয়ারলি জানার জন্য। আমি একজন ডাক্তার। সর্বোপরি আমি একজন ডাক্তারের বাবা। যারা অনশন করছে, তারা সবাই আমার ছেলের মতো। দু পক্ষই কিন্তু অনড়। স্পেশালি সরকার অনড়। জুনিয়র ডাক্তারদের বোড়ে হিসেবে অনেকেই ব্যবহার করতে চাইছে। এই জুনিয়র ডাক্তাররা অত্যন্ত ইন্টেলিজেন্ট। তারা গত ১৩ দিন ধরে একটানা অনশন করছেন জলের ওপর থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবাটাকে পুরোটা পাল্টানোর জন্য। কিন্তু কোথাও এসে ডেডলক সিচ্যুয়েশন হয়েছে। যেটা খোলা একান্ত জরুরি। কোনও আন্দোলন জিততে গেলে এক পা পিছিয়ে দু-পা এগিয়ে যেতে হয়। এখানে আমাদের আন্দোলন করার উদ্দেশ্য কী ? যাতে দাবিগুলো সরকার মিটিয়ে দেয়....আমি মনে করি না কোনও অসুবিধা আলোচনার মাধ্যমে মেটানো যায় না। কোনও জট কি খোলা সম্ভব ? '
তিনি আরও বলেন, 'অচলাবস্থা কাটানোর উপায় খুঁজতেই বৈঠক। কোর্টের মাধ্যমে সমাধান সময় সাপেক্ষ। জট কাটাতে আলোচনাই একমাত্র পথ। স্বাস্থ্য দফতরের সর্বোচ্চ স্তরে বার্তা পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য। এমন কিছু করবেন না যাতে আন্দোলনের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়'।
তবে কুণাল ঘোষের সঙ্গে চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়াই দিয়েছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। 'সিনিয়র-জুনিয়র চিকিৎসক ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের দৌত্যের অধিকার তাঁকে কেউ দেয়নি। তিনি এমন একজনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যিনি প্রতিনিয়ত আন্দোলনকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন। আমরা মনে করি নারায়ণবাবু আন্দোলনের পরিপন্থী ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর এই আচরণকে আমরা সমর্থন করছি না' বিবৃতি দিয়ে পোস্ট করেছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স।
এর আগেই নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৌত্য নিয়ে অসন্তোষই প্রকাশ করেন জুনিয়র ডাক্তারদের কেউ কেউ। কড়া বার্তা দেন আন্দোলনের অন্যতম মুখ আসফাকুল্লা নাইয়া। অন্যান্য অনেকের বক্তব্যেই এই মতেরই প্রতিফলন দেখা যায়।