কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডের ১৫ দিন পরও কাটল না রহস্য। কর্মবিরতি চলবে জানিয়ে দিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে স্বাস্থ্য ভবন। পুলিশের সহযোগিতায় তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। এমনকী এও বলা হয় যে আততায়ীরা এখনও ঘুরছে হাসপাতালে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করলেও এখনও আতঙ্ক কাটছে না তাঁদের, এমনটাই অভিযোগ আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের।
সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করার পাশাপাশি, বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ দাবি করলেন তাঁরা। সোমবার বিকেল ৫টায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ডাক দেওয়া হয়েছে গণ কনভেনশনের। আন্দোলনকারী পড়ুয়া দেবাশিস হালদার বলেন, 'আমরাও কাজে যোগদান করতে চাইছি। কিন্তু, বিচার পাওয়ার প্রশ্নে যারা বাধা সৃষ্টি করছে তারা যদি সক্রিয় থাকে তাহলে কীভাবে আমরা ফিরব?'
দেবাশিস হালদার বলেন, '৯ আগস্টের নারকীয় ঘটনায় জড়িত দোষীদের চিহ্নিত করা এবং এই ঘৃণ্য ঘটনার মোটিভ এখনও আমাদের কাছে অজানা। তাই দোষীরা হয় তো প্রকাশ্য়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফলত আমরা কেউই নিরাপদ নই। অতি দ্রুত দোষীদের শনাক্তকরণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।'
আরও পড়ুন, মিথ্যে বললেই ধরা পড়ে এই পরীক্ষায়? কী হয় পলিগ্রাফ টেস্টে?
আর জি কর মেডিক্যালে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর, সব মহল থেকেই অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীর ঘোষ। ঘটনার এত দিন পরও সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ তো দূর, কোনও পদক্ষেপই করেনি রাজ্য সরকার। এই নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ আর জি কর মেডিক্যালের আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। পাশাপাশি এদিন উঠে এসেছে পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিও।
বিচার পাওয়ার আশায় প্রতিদিন শহরের রাস্তায় নামছেন হাজার হাজার মানুষ। প্রশ্ন একটাই, বিচার কবে?
এদিকে, আর জি কর মেডিক্যালে ধর্ষণ-খুনের তদন্তের পাশাপাশি, শুক্রবার হাইকোর্টের নির্দেশে হাসপাতালে দুর্নীতির তদন্তও গেছে সিবিআইয়ের হাতে। আর দায়িত্বভার হাতে নিয়েই একেবারে সাঁড়াশি আক্রমণে নেমে পড়ল সিবিআই। রবিবার সন্দীপ ঘোষের বাড়ি সহ মোট ১৫ টি জায়গায় ম্যারাথন তল্লাশি চালাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলল ম্যারাথন জেরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে