কলকাতা : আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ও জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের পাশে থেকে একের পর এক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা গণইস্তফা দিয়েছেন।  এবার পাশে দাঁড়ালেন বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকরা। কলকাতার একের পর এক বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা সম্মিলিত ভাবে আংশিক কর্মবিরতির ঘোষণা করলেন। আগেই এই তালিকায় ছিল অ্যাপোলো, মণিপাল, আরএন টেগোর ও ফর্টিস হাসপাতাল। আর এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল সি কে বিড়লা গ্রুপ অফ হসপিটালস, কোঠারি হাসপাতাল ও উডল্যান্ডস হাসপাতাল।


চিকিৎসকদের তরফে ড. সব্যসাচী মিত্র জানিয়েছেন, আগামী ১৪ ও ১৫ অক্টোবর। এই হাসপাতালগুলিতে নন-এসেনশিয়াল সার্ভিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পরিষেবা ও হাসপাতালে ভর্তি করার সুযোগ থাকলেও আউটডোরে ডাক্তার দেখানো যাবে না। ১৫ তারিখের পর থেকে তাঁরা কী করবেন, তা আলোচনা করে জানাবেন চিকিৎসকরা।  অনশনরত চিকিৎসকদের দাবিদাওয়া কতটা পূরণ হল , তার উপর নির্ভর করে আগামী দিনের পরিষেবা। 


ছড়াচ্ছে প্রতিবাদের আঁচ। আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এবং জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে, আংশিক কর্মবিরতির পথে হেঁটেছে আরও দুই বেসরকারি হাসপাতাল। শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য় আংশিক কর্মবিরতি চলছে ফর্টিসে। ফর্টিস হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য় আংশিক কর্মবিরতিতে যাচ্ছে তারা। সোম ও মঙ্গলবার পেনডাউন করা হবে পিয়ারলেস হাসপাতালে।  আগামী বুধবার অবধি নন-ইমারজেন্সি পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিকা হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ। এই মর্মে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের ১১২ জন চিকিৎসক।                      


এর আগে আংশিক কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল,  মনিপাল হাসপাতাল, আর এন টেগোর হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ। 


অন্যদিকে আবার অনশন রত ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে ফেডারেশন অফ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। তাদের উল্লেখ, 'ব্রিটিশ শাসনের পর বাংলায় অন্ধকারতম সময়। সমাধান না বেরোলে, অনশনকারীরা মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাবেন' 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে                        


আরও পড়ুন : অনশনরত স্নিগ্ধা হাজরার বাড়িতে মাঝ রাতে পুলিশ ! অনশন তুনতে চাপ? কী জানালেন দেবাশিস?