পার্থপ্রতিম ঘোষ, ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, শিবাশিস মৌলিক, ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা : আর জি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে আজ পুলিশি 'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ'-এর নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। পুলিশ আগেই জানিয়েছে, এই মিছিলে অনুমতি নেই । যদিও নিজেদের কর্মসূচিতে অনড় সংগঠন। প্রশাসনও তৈরি মিছিল আটকাতে। সদস্যদের দাবি, কলেজ স্কোয়ার ও সাঁতরাগাছি থেকে নবান্নের দিকে এগোবে দুটি মিছিল। সেক্ষেত্রে এই এই মিছিল দুটির সম্ভাব্য রুটগুলিকে আটকে দেওয়া হয়েছে। ব্যারিকেড করা হয়েছে সেই রাস্তাগুলি। সেই সঙ্গে নবান্ন-র আশেপাশে গলিগুলির উপরও রাখা হয়েছে নজর। পাছে, বড় রাস্তায় না এসে, গলি দিয়ে না প্রবেশ করতে পারে মিছিল। 



নবান্ন-র নিরাপত্তা 


নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে নবান্ন ও তার আশপাশের এলাকা। জায়গায় জায়গায় গার্ডরেল দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করেছে পুলিশ। নবান্নের সামনে লাঠিধারী পুলিশের সঙ্গে মোতায়েন রয়েছে র‍্যাফ, কমব্যাট ফোর্স। প্রস্তুত রাখা হয়েছে কাঁদানে গ্যাসের শেল। সকাল থেকে নবান্ন ও সংলগ্ন এলাকায় টহল দিচ্ছেন হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী। যাতে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বিক্ষোভকারীরা নবান্ন চত্বরে পৌঁছতে না পারেন, তার জন্য নবান্নগামী প্রধান সড়ক ছাড়াও অলিগলিতে চলছে পুলিশি নজরদারি।

দুর্ভেদ্য প্রাচীর


এজেসি বোস রোড ও দ্বিতীয় হুগলি সেতু সংযোগকারী সমস্ত রাস্তায় ভোর থেকে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে স্টিলের গার্ডরেল। কলকাতার দিক থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুগামী প্রতিটি রাস্তাই পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। বেলা বাড়ার সঙ্গে দ্বিতীয় হুগলি সেতু ও অ্যাপ্রোচ রোডগুলিতে যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে আজ। সপ্তাহের দ্বিতীয় কাজের দিন হওয়ায়, বিকল্প রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু হাওড়া থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে যাঁরা অফিস যান, তাঁদের দুর্ভোগ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 


অন্যদিকে হাওড়া ময়দানেও রাখা হয়েছে ব্যারিকেড। সেখান দিয়েও নবান্ন-র দিকে এগোনো যায়। তাই সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে দুর্ভেদ্য প্রাচীর। ৭ ফুট উঁচু উঁচু গার্ডরেল জুড়ে দেওয়া হয়েছে নাট-বল্টু দিয়ে। তার সামনে রাখা হয়েছে বালির বস্তা। এছাড়াও লোহা দিয়ে মাটির সঙ্গে দৃঢ় ভাবে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।  কলকাতা থেকে সেকেন্ড হুগলি ব্রিজে ওঠার আগেই রাস্তায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে একের পর এক লোহার ও বাঁশের ব্যারিকেড। 


কোন কোন রাস্তা বন্ধ ইতিমধ্যেই?


মঙ্গলবার ভোর ৪টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত, দ্বিতীয় হুগলি সেতু এবং র‍্যাম্প, খিদিরপুর রোড, তারাতলা রোড, ডায়মন্ড হারবার রোড, গার্ডেনরিচ রোড, হাইড রোড, রিমাউন্ট রোড-সহ বেশ কয়েকটি রাস্তায় পণ্যবাহী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, মধ্য কলকাতার জওহরলাল নেহরু রোড, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, রেড রোড, মেয়ো রোড, আউট্রাম রোড, খিদিরপুর রোড, হসপিটাল রোড, লাভার্স লেন, কুইন্স ওয়ে, ক্যাথিড্রাল রোড, এজেসি বোস রোড-সহ আরও কয়েকটি রাস্তায়, পণ্যবাহী যান চলাচল করবে না বলে কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে