সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা : ৯০ দিন পরেও চার্জশিট দিতে পারেনি CBI। যার জেরে জামিন পেয়ে গেছেন আর জি কর মেডিক্য়ালের প্রাক্তন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এই প্রেক্ষিতেই CBI-এর তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রতিবাদে ফের পথে নেমেছেন ডাক্তারদের বিভিন্ন সংগঠন। এদিন অভয়া মঞ্চের (৮০টির বেশি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ) তরফে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে গণ জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই জমায়েত ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হল। সেই জমায়েতে সামিল হন বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। আরজি করকাণ্ডে সিবিআইকে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করতে হবে বলে দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। সেই সময় পুলিশের তরফে তাঁদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই সেখানে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ঠেলাঠেলিতে পড়ে যান মহিলা আন্দোলনকারী। বিরাট সংখ্যক পুলিশ কর্মী মোতায়েন ছিল সেখানে। ঘটনা ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়।
এদিন দুপুর ৩টের সময় কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, অভয়া মঞ্চের উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, পুলিশ প্রথম থেকে বাধা দিচ্ছে। তাঁদের মাইক নিয়ে আসতে দেওয়া হয়নি। পুলিশের সঙ্গে সমঝোতায় একটা ম্যাটাডর নিয়ে আসা হয়। ম্যাটাডর থেকে বক্তব্য রাখেন নিহত নির্যাতিতার বাবা-মা। এরপর কুশপুত্তলিকা দাহ করার কর্মসূচি পালনের কথা ছিল। সেটা শুরু হতেই মোতায়েন থাকা বিরাট সংখ্যক পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। উত্তেজনা চরমে ওঠে।
পদে পদে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব। আদালতে দাঁড়িয়ে বার বার যোগসাজশের অভিযোগ। দুই মাথার এক জায়গায় হয়ে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের দাবি। সিবিআইয়ের কাছে এত তত্ত্ব থাকার পরও, গতকাল আর জি করে খুন ও ধর্ষণ মামলায় জামিন পেয়ে গেছেন আর জি কর মেডিক্যালের তৎকালীন অধ্যক্ষ ও টালা থানার তৎকালীন ওসি। তার কারণ, গ্রেফতারের ৯০ দিনেও তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতে পারেনি CBI। অর্থাৎ ষড়যন্ত্রের তত্ত্বের 'ছড়াছড়ি' সত্ত্বেও, এখনও অবধি তথ্য় জমা দিতে পারল না তারা। আর এতেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে। এর প্রতিবাদে নতুন করে ফের কলকাতার রাস্তায় আন্দোলনের ঝড় উঠতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছিল। জুনিয়র চিকিৎসকরা গতকালই সেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন। সেইমতোই এদিন থেকে পথে নামল বহু সংগঠন।