রাজ্যজুড়ে একাধিক মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচার ! আরজি করের পর একের পর এক কলেজ থেকে উঠে আসছে থ্রেট কালচারের অভিযোগ।  গত বুধবার পড়ুয়াদের বিক্ষোভ আন্দোলনের জেরে তুলকালাম বেধেছিল 
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। তারপর চাপে পড়ে পাঁচ দিনের মাথায় পদক্ষেপ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ছুটিতে পাঠানো হয় পদত্যাগী ডিন, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিন ও এক RMO-কে। সাসপেন্ড করা হয় তিন হাউসস্টাফকে। এবার এই থ্রেট কালচার চালানোর অভিযোগে আরজি কর মেডিক্যালে ঢোকা বন্ধ করা হল ৫১ জনের। এবার তাদের তরফে যুক্তি দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার। 


৫১ জন জুনিয়র ডাক্তারকে তলব করল আরজি কর হাসপাতালের তদন্ত কমিটি। কারা এই ৫১ জন ? জানা গিয়েছে, পড়ুয়া থেকে হাউসস্টাফ-আর জি কর মেডিক্যালে  ৫১ জনের ঢোকায় 'নো এন্ট্রি'জারি করা হয়েছে। এই তালিকায়  আছেন, স্নাতক, স্নাতকোত্তর, হাউস স্টাফ, সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা। রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এঁদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচার চালানোর অভিযোগ করা হয়। 


বুধবার হাসপাতালের তদন্ত কমিটির সামনে ৫১ জনকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এঁদের বিরুদ্ধে ভয় দেখানো, গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। যদি তাঁরা নিজেদের কাজের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে চান, নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে চান, তাহলে বুধবার তদন্ত কমিটির সামনে হাজিরার দিতে হবে। জানা গিয়েছে এই ৫১ জনই আহাসপাতালে থ্রেট কালচার তৈরি করেছিল। 


এরই মধ্যে আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-ঘনিষ্ঠ অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাস-সহ ৩ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ। এঁদের মধ্যে অভীক ও বিরূপাক্ষের নাম আগেই বিতর্কে জড়িয়েছিল। এবার তৃতীয় এক চিকিৎসকের নামও উঠে এল। তিনি হলেন চিকিৎসক ও এসএসকেএম হাসপাতালের প্রাক্তনী রণজিৎ সাহা।  বউবাজার থানা সূত্রে খবর, শুধু কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকেই অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং রণজিৎ সাহার বিরুদ্ধে জুনিয়র ডাক্তারদের ৪৬টি অভিযোগ মিলেছে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই বয়েজ হস্টেলে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভয় দেখানোর অভিযোগ রয়েছে। বউবাজার থানা সূত্রে খবর, রানাঘাটের বাসিন্দা এক জুনিয়র ডাক্তারের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট মামলা রুজু করে, তদন্ত শুরু হয়েছে।         


বৃহস্পতিবার আর জি কর মেডিক্য়ালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ দুই চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও অভীক দে-কে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্যভবন। দু'দিনের মাথায় তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলও।  শনিবারই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের বিভিন্ন পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে। এরই মধ্যে সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অভীক দে-র উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অভীক দে হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।