সন্দীপ সরকার, ঝিলম করঞ্জাই, পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : আর জি কর মেডিক্য়ালে চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের পর, সেমিনার হলে গেছিলেন কারা? তা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠছে। এই প্রেক্ষাপটে আকাশি শার্ট পরা এক ব্য়ক্তির ছবি ভাইরাল হয়েছে। আন্দোলনকারীদের একাংশের দাবি এই ব্যক্তির নাম দীপাঞ্জন হালদার। তিনি আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজের শিশুরোগ বিভাগের অ্যাসিস্ট্য়ান্ট প্রফেসর।
পুলিশ ছবি দেখিয়ে, কয়েকজনের পরিচয় সামনে এসেছে। কিন্তু তারপরও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল, সাংবাদিক বৈঠক করে, সেমিনার হলের একটি ছবি দেখিয়েছিলেন। অন্য়দিকে সোশাল মিডিয়ায় সেমিনার হলের আরেকটি ছবি ভাইরাল রয়েছে।
ভাইরাল ছবিটিতে আকাশি শার্ট পরা এক ব্য়ক্তিকে দেখা গেছে। যাঁকে পুলিশের ছবিতে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু আকাশি শার্ট পরা এই ব্য়ক্তি কে? আন্দোলনরত এক জুনিয়র চিকিৎসকের দাবি, ' আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত নই। তবে আমার মনে হচ্ছে ওটা দীপাঞ্জন হালদার' । কে এই দীপাঞ্জন?
কে এই দীপাঞ্জন?
দীপাঞ্জন হালদার আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজের শিশুরোগ বিভাগের অ্যাসিস্ট্য়ান্ট প্রফেসর। আর জি কর মেডিক্য়ালের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ও অ্যান্টি হ্যারাসমেন্ট কমিটির সদস্য, IMA কলকাতা শাখার ট্রেজারার, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্য? আন্দোলকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, IMA-এর কলকাতা শাখার নির্বাচনে জেতার পর, ফেসবুকে আর জি করের TMCP ইউনিটের দেওয়া অভিনন্দন বার্তায় দীপাঞ্জন হালদারের ছবি রয়েছে।
কী বলছেন দীপাঞ্জন?
চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের দিন সেমিনার হলে থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন দীপাঞ্জন হালদার। কিন্তু শিশুরোগ বিভাগের এক অ্য়াসিস্ট্য়ান্ট প্রফেসর ধর্ষণ, খুনের পর সেমিনার হলে কী করতে গেছিলেন?' দীপাঞ্জন জানাচ্ছেন, 'ওই ভিডিওর পরিপ্রেক্ষিতে বলতে পারি, ওই ছবিতে যাকে দেখা যাচ্ছে, ওই ছবিটার কতটা অথেনটিসিটি আছে, আসল না বিকৃত ছবি, ওই ছবির ভিত্তিতে আমি নিশ্চিত করতে পারছি না যে ওটা আমিই কিনা। ৯ তারিখে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্য়াল কাউন্সিলের মিটিং ছিল। মিটিং করে সাড়ে ৩টের দিকে অবশ্যই আমি আর জি করে আসি। এসে প্রথমেই চেস্ট ডিপার্টমেন্টের ওখানে শুধু আমিই না, আরও কিছু ফ্যাকাল্টিরা ওখানে যাই। সেটা পুলিশ কর্ডন এরিয়া যেটা ছিল, তার বাইরেই আমরা দাঁড়াই। ক্রাইম অফ অকারেন্সে আমরা কেউই ছিলাম না। আমি তো ছিলামই না। সাড়ে ৩টের আগে তো আমি ওখানে গিয়ে পৌঁছইনি, তার আগে কী হয়েছে, বলা তো সম্ভব না। পুলিশ প্রশাসন বাউন্ডারি করে একদম সিল করে রেখেছিল। সেখানে আমরা কেন কাউকেই ঢুকতে দিচ্ছিল না। এই ছবির যৌক্তিকতা নিয়ে আমার সত্যিই মন্তব্য করতে পারব না। নিজে ফ্যাকাল্টি, বিভিন্ন কমিটির পার্ট সেখানে আমার নৈতিক দায়িত্ববোধের খাতিরেই যাওয়া।'
তবে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা প্রশ্ন তুলছেন, ভাইরাল ছবিতে যাঁকে দেখা যাচ্ছে, পুলিশের ছবিতে তাঁকে দেখা যাচ্ছে না কেন? পুলিশ কি ইচ্ছাকৃতভাবেই তাঁর ছবি বাদ দিয়েছে?
আরও দেখুন :
'এটা আমার কর্তব্য...' কোলের ছেলেকে নিয়ে রাত জেগে প্রতিবাদে সামিল মা