সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: শাক-সবজি, মাছ-মাংস থেকে রান্নার গ্যাস (Fuel)। সবকিছু অগ্নিমূল্য ছিলই। এবার চালের দামেও ছ্যাঁকা। বিক্রেতাদের দাবি, প্রায় সব ধরনের চালের দামই গত এক মাসে গড়ে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। মাথায় হাত ক্রেতাদের। বিক্রেতাদের দাবি, জোগানের ঘাটতির জন্যই বাড়ছে দাম।
দিনে দিনে বোঝার ভারে ন্যূব্জ হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। চাপ বাড়তে বাড়তে নাজেহাল অবস্থা! এই অবস্থায় ফের আরও মরার ওপর খাড়ার ঘা। ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (RBI)!
এই নিয়ে গত ৪ মাসে ৩ বার বাড়ানো হল রেপো রেট। আর এর সরাসরি প্রভাব সাধারণ মানুষের ওপর পড়বে। কারণ এর ফলে গৃহঋণে EMI ফের বাড়ার আশঙ্কা। এর আগে বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাঙ্ক রেপো রেট বাড়ার পরই EMI বাড়িয়ে দিয়েছিল। এবার ফের বাড়ানো হল রেপো রেট!
তাই মধ্যবিত্তের সঙ্কট আরও বাড়িয়ে ফের EMI বাড়তে পারে। আর শুধু লাগাতার ঋণের EMI বাড়াই নয়। যে ভাবে সব জিনিসের দাম বাড়ছে, তাতে পেট চালানোও দিনে দিনে কঠিন হয়ে পড়ছে! শাক-সবজি, মাছ-মাংস থেকে রান্নার গ্যাস। সবকিছুই অগ্নিমূল্য।
এবার চালের দামেও আগুন। বিক্রেতাদের দাবি, প্রায় সব ধরনের চালের দামই গত এক মাসে গড়ে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। মানিকতলা বাজারে, যে মাসুরি চাল কিছুদিন আগেও মিলত ৩০ টাকায়। এখন কেজিপ্রতি তাই কিনতে হচ্ছে ৩৫ টাকায়।
মিনিকিট চালের দাম ৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা। কেজিপ্রতি চামনমণি চাল কিনতে এখন গুণতে হচ্ছে ৫৫টাকা। বাঁশকাঠি চালের দাম ঘুরছে ৬০-৬৫ টাকার আশেপাশে। কেজিপ্রতি গোবিন্দভোগ চাল কিনতে গুণতে হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। আগেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিল বাসমতী। এখন কেজিপ্রতি বাসমতী চালের দাম হয়েছে ১২০ টাকা।
চালের দাম এতটা বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের মাথায় হাত। বিক্রেতাদের দাবি, জোগানের ঘাটতির জন্যই বাড়ছে দাম। সব জিনিসের দাম এভাবে লাগাতার বেড়ে চললে, মানুষ খাবে কী? চলবে কী করে? এমনই অজস্র প্রশ্নের ভিড়ে এখন দিশেহারা মধ্যবিত্ত।
আরও পড়ুন: Hooghly News : ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল, সকাল থেকে বিপর্যস্ত ব্যান্ডেল কাটোয়া শাখার ট্রেন চলাচল