সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: সিভিক ভলান্টিয়ার ও নৈশরক্ষীদের দড়ি দিয়ে বেঁধে সামনে বোমার বস্তা রেখে দু-দুটি সোনার দোকানে (Jewellery Shops) লুঠপাট (robbery) চালাল দুষ্কৃতীরা। ভয়ঙ্কর ডাকাতির অভিযোগ উত্তর ২৪ পরগনার ( North 24 Parganas) অশোকনগর (ashoknagar) থানার শ্রীকৃষ্ণপুর পঞ্চায়েত লাগোয়া নুরপুর বাজারে। আতঙ্কে স্থানীয়রা।
কী ঘটেছিল?
অশোকনগর থানার পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জেনেছে তা শিউরে ওঠার মতো। গত রাতের ওই লুঠপাটে কমপক্ষে ১৫ জন দুষ্কৃতী এসেছিল বলে জানিয়েছেন সিভিক ভলান্টিয়ার ও নৈশরক্ষীরা। তাদের সঙ্গে বোমা ছিল বলেও জানা গিয়েছে। অভিযোগ, দুটি সোনার দোকানে সিসিটিভি খুলে নেওয়া হয়। তার পর প্রায় লক্ষাধিক টাকার গয়না অবাধে লুঠপাট করে পালায় ডাকাতরা। তবে তার আগে দুজন সিভিক ভলান্টিয়ার ও বাজার কমিটির তিন নৈশরক্ষীকে দড়ি দিয়ে বেঁধেছিল তারা। তার পর তাঁদের পায়ের কাছে বোমার বস্তা রেখে দিয়েছিল। গোটা ঘটনা আতঙ্কে নুরপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের বক্তব্য, যে ভাবে লুঠপাট চলেছে তা অন্তত গত ১০-১৫ বছরের মধ্যে কেউ দেখেননি। তদন্ত শুরু করেছে অশোকনগর থানার পুলিশ।
আগেও লুটপাঠ
দুষ্কৃতী-দৌরাত্ম্য অবশ্য নতুন নয় উত্তর ২৪ পরগনায়। গত মাসের শেষাশেষি ঘোলার মহিষাপোতায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের খবর শিরোনামে আসে। সে বার তৃণমূলের প্রাক্তন উপপ্রধানের বাড়ি-সহ ৩টি বাড়িতে ভাঙচুর চলে। সেই ছবিও ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরায়। ঘোলা থানায় অভিযোগও দায়ের হয়। তবে কেন হামলা চলেছিল তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তার আগে, গত এপ্রিলে ব্যবসায়ীদের উপর ‘হামলা’-র অভিযোগ ওঠে। খড়দার পুরানিবাজারে তোলা না পেয়ে ব্যবসায়ীদের এলোপাথাড়ি কোপ চালানো হয়ে অভিযোগ। ধারাল অস্ত্রের কোপে আহত হন ৪ থেকে ৫ জন ব্যবসায়ী। প্রতিবাদে দোকানও বন্ধ করেছিলেন ব্যবসায়ীরা।
কিন্তু তার পরও এই ডাকাতির ঘটনা আতঙ্কের হিমস্রোত বয়ে গিয়েছে। কী করছে প্রশাসন? প্রশ্ন উঠছেই।