কলকাতা: ইউটিউবার রোদ্দুর রায়ের (Roddur Roy) বিরুদ্ধে নতুন মামলা রুজু বটতলা থানার পুলিশের। ২০২০ সালে ১১ মে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য। মন্তব্যের প্রেক্ষিতে একজন গৃহশিক্ষক ২০২০ সালের জুন মাসে অভিযোগ দায়ের করেন। বটতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন গৃহশিক্ষক। দু বছর পর সেই মামলায় ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ। ২০ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিন প্রতিক্রিয়ায় রোদ্দুর রায় বলেন, "আর্ট কেউ বুঝতে পারছে না। আমি আর্টিস্ট, আমি টেররিস্ট নই। শুধু এইটুকুই বলার আছে।''
ফের পুলিশ হেফাজতে পাঠাল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট: এক মামলায় পুলিশ হেফাজতের শেষ দিনেই, ইউটিউবার রোদ্দুর রায়কে অন্য মামলায় ফের পুলিশ হেফাজতে পাঠাল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করায়। ২০২০ সালে কলকাতার বড়তলা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই, এদিন ফের তাঁকে ৭ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী এবং সম্প্রতি সঙ্গীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচীকে নিয়ে ইউটিউবে কুরুচিকর মন্তব্য করায় তুমুল বিতর্কে জড়ান রোদ্দুর রায়।
টাকার উৎস খতিয়ে দেখছে পুলিশ: তাঁর বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট, চিৎপুর-সহ একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। যার প্রেক্ষিতে গত সাতই জুন, গোয়া থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের হওয়া মামলায়, মঙ্গলবার রোদ্দুর রায়ের পুলিশ হেফাজতের শেষ দিন ছিল। আর এদিনই বড়তলা থানার রুজু করা মামলার প্রেক্ষিতে আরও এক সপ্তাহ পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। এই নির্দেশের পর কোর্ট থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, "শিল্প কেউ বুঝতে পারছে না। আমি শিল্পী, জঙ্গি নই।'' পুলিশ সূত্রে দাবি, রোদ্দুর রায়ের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে। তাতে বিপুল টাকা রয়েছে। সেই টাকার উৎস খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Roddur Roy Update: রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে নতুন মামলা রুজু, ফের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ