কলকাতা: রোজভ্যালির আমানতকারীদের টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু। আমানতকারীদের ৪৫০ কোটি টাকা ফেরতে দিতে অনুমতি। বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার প্রায় ৩৩২ কোটি টাকার সম্পত্তি ফেরতের অনুমতি ওড়িশার খুড়দার বিশেষ আদালতের। 



 
বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা রোজভ্যালির প্রায় ৩৩২ কোটি টাকার সম্পত্তি আমানতকারীদের ফেরতের অনুমতি দিল ওড়িশার খুড়দার বিশেষ আদালত। ইডি সূত্রে দাবি, বিভিন্ন ব্য়াঙ্কের স্থায়ী আমানত হিসেবে থাকা এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা। টাকা ফেরতের কমিটির আবেদনের ভিত্তিতে সম্পত্তি ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ আদালত।


টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আগেই,গত বছর পুজোর আগে টাকা ফেরত পেতে শুরু করেন রোজভ্য়ালির আমানতকারীরা। আবেদন জানিয়ে প্রথম দফায় টাকা ফেরত পান সাত হাজারেরও বেশি আমানতকারী। গত বছর প্রথম দফাতে টাকা ফেরত পেয়েছিলেন ৭ হাজার ৩৪৬ জন আমানতকারী। আদালতের নির্দেশ মতো টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আগেই। সূত্রের খবর, প্রতারিতদের হাতে টাকা তুলে দিতে, প্রথম দফায় ১৯ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা 'অ্যাসেট ডিসপোজাল কমিটি'কে দিয়েছিল ED। রোজভ্য়ালির প্রতারিত আমানতকারীদের আবাদেন জানাতে বলা হয়েছিল www.rosevallyadc.com নামে ওয়েবসাইটে।


 অ্যাসেট ডিসপোজাল কমিটির দাবি ছিল, টাকা ফেরতের জন্য় সেখানে, ২৮ লক্ষ ১০ হাজার ৭১৪টি আবেদন জমা পড়ে। স্ক্রুটিনির পর বাতিল হয়েছিল বহু আবেদনপত্র।তথ্য় যাচাইয়ের পর গত বছর ৭ হাজার ৩৪৬ জন আমানতকারীর ব্য়াঙ্ক অ্য়কাউন্টে ১০ হাজার ২০০ টাকা করে পাঠানো হয়েছিল। অ্যাসেট ডিসপোজাল কমিটির অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও চেয়ারপার্সন দিলীপ শেঠ বলেছিলেন,  ৭ হাজার ৩৪৬ জন আমানতকারীর ব্য়াঙ্ক অ্য়কাউন্টে ১০ হাজার ২০০ টাকা করে পাঠানো হয়েছে। ধাপে ধাপে এবার প্রত্য়েক মাসে আমানতকারীরা টাকা পাবে। চব্বিশ সালেই আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর বিষয় নিয়ে বৈঠকে ED-র জয়েন্ট ডিরেক্টর সুদেশ শেওরান জানিয়েছিলেন , রোজভ্য়ালির যত সম্পত্তি রয়েছে তা নিয়ম মেনে ধাপে ধাপে আমানতকারীদের ফেরত দেওয়া হবে। 


আরও পড়ুন, ' সুদীপ একদম সুস্থ..', জানালেন খোদ সাংসদের স্ত্রী, মানতে নারাজ কুণাল ! কেন মনে করালেন 'সাধন পাণ্ডের' কথা ?



উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের জুন মাসে রোজভ্যালি মামলায় এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই। ২০১৫-র মার্চে ইডির হাতে গ্রেফতার হন রোজভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ। সম্প্রতি সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে,রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপের হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। ইডির তত্‍কালীন তিন আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন সিবিআইয়ের অফিসাররা।