জয়ন্ত রায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা:আবাসনের (residential complex) বন্ধ ঘর (locked room) থেকে প্রৌঢ়ের পচাগলা দেহ (rotten body) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মহেশতলায় (maheshtala)। পুলিশ সূত্রে খবর, যে ব্যক্তির দেহ পাওয়া গিয়েছে তাঁর নাম সুব্রত গুহ বিশ্বাস। বয়স ৫৫ বছর। কী ভাবে মৃত্যু তা স্পষ্ট নয়। আপাতত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের (post mortem) জন্য বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে তা পাঠানো হয়েছে।


কী জানা গেল?
মহেশতলায় একটি সংস্থার কর্মচারীদের পারিবারিক আবাসনের'এ'ব্লক থেকে সুব্রতর দেহ উদ্ধার হয়। আবাসনের সাফাইকর্মীরা তীব্র পচা গন্ধ পেয়ে অন্যান্য আবাসিকদের বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তার পরই বাসিন্দারা আন্দাজ করেন, সম্ভবত 'এ'ব্লকের ১৩ নম্বর ঘর থেকেই ওই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তৎক্ষণাৎ আবাসনের নিরাপত্তা রক্ষীদের জানানো হয় বিষয়টি। দ্রুত খবর যায় মহেশতলা থানায়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঢুকতেই ওই ব্যক্তির পচাগলা দেহ দেখতে পায়। এক আবাসিকের দাবি, গত শুক্রবার শেষ বারের মতো প্রৌঢ়কে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু তার পর কী হল? কোথায় গিয়েছিলেন তিনি? নাকি কেউ এসেছিল দেখা করতে? অথবা স্রেফ অসুস্থতার কারণেই মৃত্য়ু? কিন্তু তা হলে বন্ধ ঘরে গেলেন কী ভাবে? প্রশ্ন অনেকগুলো তৈরি হয়েছে এর মধ্যেই।


মৃতের সম্পর্কে...
আবাসিকরা জানাচ্ছেন, মৃতের কন্যা তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মরত। সেই সূত্রে সল্টলেক এলাকাতেই থাকেন। মাঝেমধ্যে মহেশতলার বাড়িতে আসতেন। এ ছাড়া সেই অর্থে প্রৌঢ়ের বাড়িতে আর কেউ ছিল না। আবাসিকদের বক্তব্য, একমাত্র সন্তানের জন্মের বছরপাঁচেকের মধ্যেই সুব্রতর স্ত্রী মারা গিয়েছিলেন। ফলে তার পর থেকে মা ও মেয়েকে নিয়েই ছিলেন প্রৌঢ়। বেশ কয়েক বছর আগে মা-ও মারা যান। আর মেয়ে কাজের সূত্রে সল্টলেকে থাকেন। ফলে গত কয়েক বছর যাবৎ একাই থাকতেন প্রৌঢ়। আবাসিকদের একাংশের বক্তব্য,প্রায়শই একা ঘরে বসে মদ্যপান করতেন সুব্রত। শুক্রবার শেষ দেখা যায় তাঁকে। তার পর কী হল, কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না কেউ। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে ছবিটা কিছুটা হয়তো স্পষ্ট হবে, মনে করছে পুলিশ।
দীর্ঘদিনের এক বাসিন্দার এমন মৃত্যুতে শোকের আবহ গোটা আবাসনে। কোথা থেকে কী হয়ে গেল ঠাওর করে উঠতে পারছেন না পড়শিদের অনেকেই। 


আরও পড়ুন:'শুভেন্দুকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না ?', 'সিবিআই সেটিং' নিয়ে বিস্ফোরক শান্তনু