করুণাময় সিংহ, মালদা: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শন করতে এলেও কোনও অভিযোগ শুনতে চাননি। এই অভিযোগে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুরে সুপারভাইজার সহ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের তালাবন্ধ করে রাখলেন অভিভাবকবা। পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার পেলেন সবাই। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুপারভাইজার। সরিয়ে দেওয়া হল অভিযুক্ত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে।
সুপারভাইজারকেই তালাবন্ধ করে রাখলেন অভিভাবকরা: খাবার কোনও দিন মেলে, কোনও দিন মেলে না। খুদে পড়ুয়াদের পাতে দেওয়া হয় পচা ডিম। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর-৩ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়। প্রতিবাদে, খোদ সুপারভাইজারকেই তালাবন্ধ করে রাখলেন অভিভাবকরা। ঘটনাস্থলে এসে সিডিপিও সরিয়ে দিলেন অঙ্গনওয়াড়িকর্মীকে। ঘটনার সূত্রপাত, সোমবার সকালে। মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়ুয়াদের পচা ডিম ও অনিয়মিত খাবার দেবার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী মিনতি দাস ও রাঁধুনিকে তালা বন্ধ করে রাখা হয়।
ঘটনার খবর জানতে পেরে বুধবার সকালে আইসিডিএস সুপারভাইজার রুমি মণ্ডল সেন্টার ভিজিট করতে এলে অভিভাবকরা অভিযোগ জানাতে চান। অভিভাবকদের দাবি, তাঁদের কথা না শুনে নিজের মতো করে সেন্টার ভিজিটের পর চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে অভিভাবকেরা সুপারভাইজার, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও রাঁধুনিকে একটি ঘরে তালাবন্ধ করেবিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ, আসেন child development project officer বা CDPO। উদ্ধার করা হয় সবাইকে। এরপর সিডিপিও অভিভাবকদের অভিযোগ শোনেন এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অঙ্গনওয়াড়িকর্মীকে এই সেন্টার থেকে বদলির নির্দেশ দেন। সিডিপিও ব্যবস্থা কড়া নেওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন অভিভাবকরা।
এদিকে DA-ধর্মঘটে যোগ না দেওয়া সত্ত্বেও তৃণমূলের দুই শিক্ষক-নেতার বিরুদ্ধে শোকজ মেল পাঠাল শিক্ষা দফতর। শুধু তাই নয়, শোকজের মেল স্কুলে না পাঠিয়ে, তৃণমূলের অঞ্চল পার্টি অফিসে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ। মালদার মানিকচকের এনায়েতপুর হাইস্কুলের দুই শিক্ষক এই শোকজ নোটিস নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন। এই দুই শিক্ষকের মধ্যে একজন ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। আরেক শিক্ষক তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি। ১০ মার্চ, DA-ধর্মঘটের দিন স্কুলে এসেছিলেন দুই শিক্ষক। তারপরও শোকজ নোটিস আসায় তাঁরা হতবাক। এই ঘটনায় দলের একাংশের দিকেই আঙুল তুলেছেন তৃণমূলের শিক্ষক-নেতা। পার্টি অফিসের মেল আইডি ব্যবহার করে
কে বা কারা এই নোটিস পাঠাল, তা জানতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: রেড রোডে পর্দাঘেরা ধর্নামঞ্চে কাটল রাত, সকালে গাইলেন গান, পড়লেন কাগজ, আজও পথে মমতা