আবির দত্ত ও সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: বিশ্ববিদ্যালয়ে (university) স্থায়ী (permanent) উপাচার্য (VC) নিয়োগ (recruitment) সহ একাধিক দাবিতে এসএফআইয়ের (SFI) বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা। কলেজ স্ট্রিট অবরোধ।


কী পরিস্থিতি?
বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল আটকে যায় কলেজ স্ট্রিটে। একদিকে এসএফআই, অন্য দিকে টিএমসিপি। দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির জেরে তুলকালাম পরিস্থিতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে। যদিও পুলিশ অবস্থান হঠাতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি। গার্ডরেলের মাধ্যমে বিক্ষোভকারীদের আটকানোর চেষ্টা চলছে। তবে কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রকাশ্যে এই সংঘর্ষের জেরে টিএমসিপি ও এসএফআই, দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে দাবি। স্লোগান-পাল্টা স্লোগানে তীব্র উত্তেজনা বইপাড়া এলাকায়। যা শোনা যাচ্ছে এসএফআইয়ের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, পুলিশের সামনেই তাদের মারধর করা হয়েছে। অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি, তাঁদের সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে পুলিশের চোখের সামনে। এসএফআইয়ের বিক্ষোভকারীরা ট্রামলাইনের সামনে বসে পড়ে প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। সেই বিক্ষোভ সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

কী দাবি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের?
এক টিএমসিপি সমর্থকের প্রশ্ন, 'ওরা যে ইউজিসি নির্দেশিকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে এসেছে, ওদের জিজ্ঞাসা করুন ওরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশিকা মানছে না কেন? এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারে না।' টিএমসিপি সমর্থকদের অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া নন বা প্রাক্তনী। তাঁরা কোন যুক্তিতে ক্যাম্পাসে ঢুকতে যাচ্ছেন?

পাল্টা এসএফআইয়ের...
'আমরা কেউ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, কেউ আবার গবেষক। অর্থাৎ সকলেই এখানকার পড়ুয়া। এঁদের জিজ্ঞাসা করুন কবে পাশ করেছেন? ক্যাম্পাসে থেকে শুধু গুন্ডাগিরি করছে', পাল্টা দাবি এসএফআই বিক্ষোভকারীর। কিন্তু কীসের দাবিতে বিক্ষোভ? বাম ছাত্র সংগঠনের দাবি, তাদের কর্মসূচিতে হামলা চালায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকরা। তখনই তার প্রতিবাদ করা হয়। তাদের মোট চার জন সমর্থককে মারধর করা হয়েছে বলে দাবি এসএফআইয়ের। যাঁদের মধ্যে ছাত্রীরাও রয়েছেন। বাম ছাত্র সংগঠনের সমর্থকদের বক্তব্য একটাই, 'কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে লুম্পেনমুক্ত করতে হবে।' এটা যে নতুন কোনও দাবি নয়, সেটাও জানিয়ে দিলেন তাঁরা। সঙ্গে সংযোজন, ক্যাম্পাস 'লুম্পেনমুক্ত' না হলে এসএফআই তার লড়াই লড়ে যাবে, আরও সংযোজন বিক্ষোভকারীদের।
সব মিলিয়ে তুলকালাম বইপাড়ায়। 


আরও পড়ুন:গঙ্গার ঘাটের অবস্থা দেখে ক্ষোভপ্রকাশ মমতার, মেরামতি করতে তড়িঘড়ি তৎপর পুরসভা!