অতসী মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণা মামলায় আরও এক অভিনেত্রীকে তলব করল ইডি। নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan) পরে, অভিনেত্রী রূপলেখা মিত্রকে (Ruplekha Mitra) তলব করল ইডি। সূত্রের খবর, সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডে'র ডিরেক্টর পদে ছিলেন রূপলেখা। আগামী সপ্তাহেই রূপলেখাকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংস্থার আরও দুই ডিরেক্টর নুসরত জাহান, রাকেশ সিংহকেও তলব করেছে ইডি। এই ঘটনায়, রূপলেখা মিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এবিপি আনন্দ। তিনি জানিয়েছেন, ডিরেক্টর পদে থাকলেও সক্রিয় ছিলেন না তিনি।


ঠিক কী বলছেন রূপলেখা? এবিপি আনন্দের তরফ থেকে এবিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'আমি এই সংস্থার ডিরেক্টর পদে থাকলেও, রোজকার কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। যাব কি না এখনই বলতে পারছি না কারণ আমায় কাগজপত্র জোগাড় করতে হবে। কোনও ক্ষমতা আমার ছিল না। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসেই আমি ওই কোম্পানি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম। ১০ বছর আগের কাগজ জোগাড় করা বেশ কঠিন কাজ। এই মুহূর্তে এত পুরনো কাগজ বের করা আমার পক্ষে সম্ভব না। আমি কিছুই জানি না এগুলো সম্পর্কে। দেখছি কী করতে পারি।'


এরপরে, রূপলেখা বলছেন, 'আমি ব্যবসা করতে চেয়েছিলাম, সেই সূত্রেই যোগাযোগ হয়েছিল ওই কোম্পানির সঙ্গে। সেখান থেকেই ডিরেক্টরের পদ পাই। তবে এই পদ পেলেও আমার কোনও ক্ষমতা ছিল না। যে সমস্ত বিলের কথা হচ্ছে, সেখানে আমি কোনোভাবেই জড়িত নয়। না আমি কোনোদিন কাউকে দেখেছি, না আমায় কেউ কখনও দেখেছে। কোনোদিন একসঙ্গে মিটিং পর্যন্ত হয়নি। যে সমস্ত জমি কেনা হয়েছে, ব্যাঙ্কের সেই নথিতেও আমার স্বাক্ষর কোথাও নেই কারণ আমায় সেই ক্ষমতাই দেওয়া হয়নি।'


একই মামলায় ইডি তলব করেছে নুসরত জাহানকেও। এবিষয়ে রূপলেখা এবিপি আনন্দকে বলছেন, 'নুসরতকে কখনও দেখিনি। তবে শুনেছি ওর বাবা কয়েকবার গিয়েছিলেন। নুসরতের সঙ্গে আমার কখনও দেখাই হয়নি।' কখনও কি টাকার চুক্তি হয়েছিল অভিনেত্রীর সঙ্গে এই সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের? অভিনেত্রী বলছেন, 'আমি ছবি করেছিলাম, তার পারিশ্রমিক পেয়েছি। তবে যে অ্যাকাউন্ট নিয়ে ওঁদের সমস্যা বা কথা হচ্ছে, সেই অ্যাকাউন্ট থেকে আমার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে কখনও ১ টাকাও আসেনি।'


আরও পড়ুন: India Name Change: সমর্থন জানিয়ে ট্যুইট অমিতাভের, দেশের নামবদল নিয়ে কী বলছেন বলিউডের বাকি তারকারা?