সুনীত হালদার, হাওড়া: রূপনারায়ণ নদে নৌকাডুবির (Rupnarayan Boat Sank) ঘটনায় উদ্ধার হল আরও দুই জনের  মৃতদেহ।


তাঁদের মধ্যে একজনের নাম ঋষভ পাল (৭)। দুর্ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটারের বেশি দূরে জয়পুর থানার ভাটোরা তদন্ত কেন্দ্র এলাকার বেড়াল কালিতলা এলাকা থেকে উদ্ধার হয় দেহ। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ তল্লাশির সময় রূপনারায়ণ নদের ধারে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ঋষভের বাড়ি লিলুয়া থানার চামরাইল এলাকায়। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ‌। প্রাথমিকভাবে ঋষভের পোশাক দেখে তার বাবা বিশ্বজিৎ পাল দেহ শনাক্ত করেন।


আরও একজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর নাম অচ্যুৎ সাহা। তাঁর বাড়ি হাওড়ার বেলগাছিয়ায়। রূপনারায়ণের ৫ কিলোমিটারের বেশি উত্তরে হুগলির খানাকুলের মাড়োখানা পানশিউলি এলাকা থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। 


গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দাসপুর থেকে পিকনিক করে ফেরার পথে রূপনারায়ণ নদে নৌকা উল্টে ১৮ জন যাত্রী নিখোঁজ হন। তাদের মধ্যে ১৩ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও পাঁচজন নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, আরও দুই জন নিখোঁজ আছে। তাঁদের খোঁজে এনডিআরএফ এর পক্ষ থেকে নদী বুকে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ‌


কী ঘটেছিল?
সেদিন ১৮ জনের একটি দল মানকুর থেকে নৌকায় চেপে পশ্চিম মেদিনীপুরের দুধকুমরার ত্রিবেনী পার্কে চড়ুইভাতি করতে এসেছিল। পিকনিকের পরে ফের নৌকায় চাপেন তাঁরা। নৌকায় মানকুরের দিকে ফিরছিলেন। সেই সময়ই কোনও কারণে নৌকা কাত হয়ে যায়, নদীর জল ঢুকতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই নৌকা ডুবে যায়। সকলেই নদীতে পড়ে যান। ওই ঘটনায় যাত্রীদের কারও কারও অভিযোগ, নৌকা ছিল নড়বড়ে এবং তাতে জল ঢুকছিল। তারা নৌকার মাঝিকে জল বের করে নৌকা ছাড়ার কথা বললেও তিনি তা শোনেননি। অতিরিক্ত বোঝার কারণে নৌকো ডুবে যাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিছুদিন আগেই স্কুলের পিকনিকে গিয়ে গুজরাতের ভডোদরায় নৌকাডুবির ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। সলিল সমাধি হয় শিক্ষক ও পড়ুয়া মিলিয়ে ১৬জনের। মৃতদের মধ্যে ছিলেন  ১৪ জন শিক্ষক ও ২ জন ছাত্র। গুজরাতের বিখ্যাত হার্নি লেকে বোটিংয়ের সময় তলিয়ে যায় এতজন পড়ুয়া। সেখানেও নৌকার ভারবহন ক্ষমতার থেকে অনেক বেশি জন ওঠাতেই তা উল্টে যায় বলে দাবি ছিল।    


আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে নতুন ট্যুইস্ট! আটক প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক