কৌশিক গাঁতাইত, আসোনসোল : যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন (Ukraine) ছাড়তে মরিয়া ভারতীয় পড়ুয়ারা (Indian Students)। ইউক্রেন লাগোয়া দেশগুলির সীমান্তে ভারতীয় দূতাবাসের ক্যাম্পে পৌঁছতে চাইছেন তাঁরা। জীবন বাজি রেখেই খারকিভের বাঙ্কার থেকে বেরিয়ে সীমান্তের দিকে রওনা দিয়েছেন অনেকে।


আলোচনায় মেলেনি সমাধান সূত্র। ষষ্ঠদিনে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে রাশিয়া । ইউক্রেনের রাজধানী কিভ দখলে সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে ক্রেমলিন । ৬৪ কিলোমিটার লম্বা ট্যাঙ্কের কনভয় নিয়ে এগোচ্ছে পুতিনের সেনা । প্রাণ বাঁচাতে এবার বাঙ্কার ছেড়ে ইউক্রেন লাগোয়া দেশগুলির সীমান্তে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন সেখানে আটকে থাকা বেশ কিছু ভারতীয় পড়ুয়া। তাঁদেরই একজন আসানসোলের সালেহীন সাজিদ। 


মঙ্গলবার খারকিভে আটক থাকা ১৫ জন ভারতীয় পড়ুয়ার একটি দল বাঙ্কার ছেড়ে পায়ে হেঁটে রওনা দেয় স্থানীয় স্টেশনের দিকে। লক্ষ্য ইউক্রেন লাগোয়া দেশের সীমান্তে ভারতীয় দূতাবাসের ক্যাম্পে পৌঁছনো । দীর্ঘ এই যাত্রাপথে এবিপি আনন্দর সঙ্গে ভিডিও কলে যোগাযোগ করেন আসানসোলের সালেহীন। ভিডিও কলে বাঙালি ডাক্তারি পড়ুয়া সালেহীন বলেন, কোনওভাবে বাঙ্কার ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছি । উদ্দেশ্য, সীমান্তে পৌঁছে যাওয়া । পায়ে হেঁটেই রওনা দিয়েছি ট্রেন ধরতে । সীমান্তে পৌঁছে কি হবে জানি না । ভারতীয় দূতাবাস সহযোগিতা করছে না।


গত এপ্রিলে ডাক্তারি পড়তে খারকিভে যান আসানসোলের সালেহীন। আচমকা যুদ্ধ শুরু হওয়ায় অন্যান্য পড়ুয়াদের সঙ্গে হস্টেল ছেড়ে বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে হয় তাঁকে। গত ২-৩ দিনে কখনও রাত কেটেছে মেট্রো রেলের সুড়ঙ্গতে। কিন্তু রাশিয়া আক্রমণের তীব্রতা বাড়াতেই এবার জীবন হাতে করে ভারতীয় দূতাবাসের ক্যাম্পে পৌঁছতে চাইছেন সালেহীনরা। 


ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়ার বাবা সাজিদ আখতার বলেন, ওরা ১৫ জন রওনা দিয়েছে। রাশিয়া বলেছে, ভারতীয় পতাকা দেখলে গুলি করবে না। সেটাই স্বস্তি। তবে যতক্ষণ না ভারতীয় দূতাবাসের ক্যাম্পে পৌঁছচ্ছে ততক্ষণ চিন্তা যাচ্ছে না।


কিভ বা খারকিভের মতো যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরে আটকে থাকা পড়ুয়াদের অনেকেরই অভিযোগ, সাহায্য মিলছে না ভারতীয় দূতাবাসের। এই শহরগুলিতে আটকে থাকাদের দ্রুত উদ্ধার করুক কেন্দ্র, আর্জি পরিবারের।