রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ইউক্রেনের আকাশে এখন বারুদের গন্ধ (Russia Ukraine War)। মুহূর্মুহূ বিস্ফোরণে কাঁপছে রাজধানী কিয়েভ-সহ বিভিন্ন এলাকা। মাথার ওপর চক্কর কাটছে সামরিক হেলিকপ্টার। রাস্তায় সাঁজোয়া গাড়ি, রুশি ট্যাঙ্ক। আছড়ে পড়ছে একের পর এক মিসাইল, আর এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে ইউক্রেনে অসহায় অবস্থায় আটকে পড়ে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার ভারতীয়। সেদেশে আটকে রয়েছেন বাংলার (West Bengal Residents) বহু ডাক্তারি পড়ুয়া। চরম অসহায় অবস্থায় রয়েছেন তাঁরা। কয়েক হাজার মাইল দূরে থাকা সন্তানদের নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন অভিভাবকরাও।


রাশিয়া - ইউক্রেনের যুদ্ধের আঁচ জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri)। অনেক স্বপ্ন নিয়ে টাকা জমিয়ে ছেলেকে ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে পাঠিয়েছিলেন জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম গাদং-১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা বাবলু বিশ্বাস। কিন্তু এমন যে দিন দেখতে হবে, এমন উৎকন্ঠায় দিন কাটাতে হবে, তা ভাবতেও পারেননি। এখন ভারত সরকারের কাছে পড়ুয়ার মায়ের কাতর আর্জি, 'ছেলেকে সুস্থভাবে ফিরিয়ে এনে দিন।' কান্নায় ভেঙে পড়ে প্রশাসনের কাছে আর্জি জানাচ্ছেন তাঁরা।


আরও পড়ুন - Jalpaiguri: ধূপগুড়িতে নারকেল গাছে চিতা ! উপচে পড়ল ভিড়।Bangla News


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চার বছর আগে ইউক্রেনে মেডিকেল কলেজে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পান জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম গাদং-১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা বাবলু বিশ্বাসের ছেলে আশিষ বিশ্বাস। স্থানীয় বাজারে বাবলু বাবুর একটি মুদিখানার দোকান রয়েছে। মুদিনখানার দোকান চালিয়েই তিনি বড় করেছেন ছেলেকে। চোখে অনেক স্বপ্ন নিয়ে ছেলেকে ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে পাঠিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন, ছেলে বড় ডাক্তার হয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরবে। কিন্তু আচমকাই এমন পরিস্থিতি নেমে আসবে, তা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি।


পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যাচ্ছে, গত বছর লকডাউনের সময় বাড়ি এসেছিলেন ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়ুয়া আশিষ বিশ্বাস। সম্প্রতি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ায় ছেলেকে নিয়ে উৎকন্ঠায় দিন কাটছে মা রেখা বিশ্বাস ও বাবা বাবলু বিশ্বাসের।