প্যারিস: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেই, ইংলিশ চ্যানেলে একটি রাশিয়ার পণ্যবাহী জাহাজ (cargo ship) নজরে পড়ল ফ্রান্সের নৌবাহিনীর। বাহিনী সূত্রে জানানো হয়েছে, টহলদারির সময় ইংলিশ চ্যানেলে (english channel) একটি পণ্যবাহী জাহাজ চোখে পড়ে তাদের। তাতে রাশিয়ার পতাকা লাগানো ছিল। সঙ্গে সঙ্গে সেটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, তারপরে গাড়িভর্তি ওই জাহাজটিকে নিয়ে আসা হয়েছে ফ্রান্সের বুঁরল সুর মের (boulogne-sur-Mer) বন্দরে। যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার উপর একাধিক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপের একাধিক দেশ এবং আমেরিকা। সেই কারণেই এমন পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জাহাজটি ১৩০ মিটার লম্বা। ফ্রান্সেরই নরমান্ডি এলাকার একটি বন্দর থেকে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের বন্দরে যাচ্ছিল বলে জানানো হয়েছে। সেটিকে আটকানো হয়েছে ফ্রান্সেরই কাছে একটি জায়গায়। সূত্রের খবর, একটি তদন্ত শুরু করা হয়েছে। জাহাজের মাল পরিবহনের সঙ্গে রাশিয়ার আর্থিক স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে তদন্তে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অন্তত ৪৮টি ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে। আর্থিক নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে পারে এমন কোনও জাহাজ দেখলে নৌবাহিনীকে হস্তক্ষেপ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ফ্রান্সের সরকারের তরফে।
দুই দেশের সেনাবাহিনীর মুখোমুখি টক্কর চলছে ইউক্রেনের রাস্তায়। ইউক্রেনে হামলা করতেই বিশ্বের একাধিক দেশ নিন্দায় মুখর হয়েছে। সরাসরি সেনা পাঠিয়ে সাহায্য না করলেও নানাভাবে পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। তারসঙ্গেই রাশিয়ার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরাসরি যুদ্ধ না করে রাশিয়াকে আর্থিকভাবে ধাক্কা দেওয়াই মূল লক্ষ্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলির কাছে রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক অসহযোগিতা করার আবেদন করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও। সুইফট ইন্টারন্যাশনাল ইলেকট্রনিক ব্যাঙ্ক পেমেন্ট সিস্টেম (swift international electronic bank payment system) থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর জন্যও ডাক দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: 'হামলা বন্ধ করতে সরকারকে চাপ দিন', রাশিয়ানদের বার্তা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের