প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির ( Primary Teacher Recruitment ) মামলায়, যুব তৃণমূলের রাজ্য় সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে ( Saayoni Ghosh ) এগারো ঘণ্টা ধরে ম্য়ারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, ধৃত কুন্তল ঘোষকে নিয়ে তদন্ত চালাতে গিয়েই সায়নী ঘোষের নাম সামনে আসে। যদিও, এদিন কুন্তল প্রসঙ্গ কার্যত এড়িয়ে যান সায়নী। রাতে বাড়ি ফিরে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মেজাজও হারান সায়নী ঘোষ।
ইডি সূত্রে খবর, সায়নী জানিয়েছেন, 'কুন্তল ঘোষকে চিনতাম তবে তেমন পরিচয় ছিল না। কুন্তল নিজেকে সোশাল ওয়ার্কার বলে পরিচয় দিত। ওর একটা কলেজ আছে বলেছিল। আমার সঙ্গে কুন্তলের কোনওদিন কোনও আর্থিক লেনদেন হয়নি।'
২৪ ঘণ্টা থাকতে হলে থাকব: সায়নী
শুক্রবার যুব তৃণমূলের রাজ্য় সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে প্রায় ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে রাত দশটা চল্লিশ অবধি চলে ম্য়ারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। সেখান থেকে বেরিয়ে সায়নী বলেন, 'একশো শতাংশ কোঅপারেট করেছি... ২৪ ঘণ্টা থাকতে হলে থাকব... আরেকবার আসতে হবে... কোঅপারেট করছি'।
ইডি সূত্রে খবর, সায়নী জানিয়েছেন, 'রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছি। ইডি-র ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন সায়নী ঘোষ।' খবর সূত্রের।
ইডি সূত্রে কী খবর
৫ জুলাই ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সায়নী ঋণ সংক্রান্ত কাগজ আনেননি বলে দাবি করায়, বুধবার তাঁকে নথি আনতে বলা হয়েছে। ওই দিন সায়নীকে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টও আনতে বলেছেন ইডি-র তদন্তকারীরা।
সূত্রের খবর, সায়নীর বয়ানের সঙ্গে তদন্তকারীদের হাতে থাকা নথি ও তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখা হবে। তার প্রেক্ষিতেই পরের দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে যুব তৃণমূলের রাজ্য় সভানেত্রীকে।
একটি সম্পত্তি কেনাবেচা সংক্রান্ত নথি থেকেই প্রথমে সায়নী ঘোষের নাম উঠে আসে। এর বাইরে, একাধিক আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সায়নীর নাম সামনে আসে বলে দাবি ইডি সূত্রে। সূত্রের দাবি, বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা
কুন্তলকে জেরাতেও ওঠে যুব তৃণমূলের রাজ্য় সভানেত্রীর নাম। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। তারপর এই মামলায় সিবিআই তাঁকে ডাকলেও, হাজিরা দেননি তিনি। এবার প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় যুব তৃণমূলের রাজ্য় সভানেত্রী সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি।