পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : গত শুক্রবার যুব তৃণমূলের রাজ্য় সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। প্রায় ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, যুব তৃণমূলের রাজ্য় সভানেত্রীকে। ৫ জুলাই ফের তাঁকে তলব করা হয়। আজ সায়নী কি সমস্ত নথি নিয়ে হাজিরা দেবেন ?
ইডি-র ( ED ) কাছে আজ আয়-ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য জমা দেওয়ার কথা সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh)। যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী আগে জানিয়েছিলেন তিনি যাবেন। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ সায়নী গলফ গ্রিনের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান।
সূত্রের দাবি, বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের একটি সম্পত্তি কেনাবেচা সংক্রান্ত নথি থেকেই প্রথমে সায়নী ঘোষের নাম উঠে আসে। এর বাইরে, একাধিক আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সায়নীর নাম সামনে এসেছে বলে দাবি ইডি সূত্রে। সূত্রের দাবি, বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তলকে জেরাতেও উঠেছে যুব তৃণমূলের রাজ্য় সভানেত্রীর নাম। এছাড়া একাধিক সাক্ষী তাঁদের বয়ানে সায়নীর নাম বলেছেন।
ইডির নজরে জোড়া ফ্ল্যাট
এই মুহূর্তে ইডি-র স্ক্যানারে সায়নীর ফ্ল্যাট। এর মধ্যে ৮০ লক্ষ টাকার ফ্ল্যাট রয়েছে সায়নীর নামে, সায়নীর মায়ের নামে ৩৫ লক্ষ টাকার আরও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ইডি-র দাবি, সায়নী জানিয়েছেন, ৬০ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ ও ২০ লক্ষ টাকা নিজের ও পরিবারের সেভিংস অ্যাকাউন্ট ভেঙে বুকিংয়ের জন্য দিয়েছিলেন। যদিও একাধিক ব্যক্তিকে জেরা করে ইডি-র অনুমান, সায়নীকে এই ২০ লক্ষ টাকা কুন্তল ঘোষ দিয়ে থাকতে পারেন। সায়নীকে ইডি-র প্রশ্ন, ফ্ল্যাটের ইএমআই কে জমা দেয়? আয়ের উৎসই বা কী? আগের দিন নথি আনেননি সায়নী। তাই সেই সংক্রান্ত নথিই আজ জমা দিতে বলা হয়েছে যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রীকে।
প্রথম জিজ্ঞাসাবাদে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে চিনতেন বলে জানিয়েছেন সায়নী ঘোষ। তখন তিনি জানান, বুধবার, ফের ED-র দফতরে যাবেন। সায়নী তখন বলেছিলেন, ' নিজের লড়াই নিজেকেই লড়তে হয়। আমিও সেটাই করব। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে অনেক কিছুর মধ্যে দিয়ে য়েতে হয়। আমাদের লিডাররাও এটার মধ্যে দিয়ে যা, আমাকেও যেতে হবে। ১০০ বার ডাকলে ১০০ বার যাব। যখন রায় বের হবে, তখন বোঝা যাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নাকি, কোনটা আসল?' এভাবেই বারবার ED-র জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে ইঙ্গিতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলেন তিনি। পাল্টা, কটাক্ষ করে বিরোধীরা।