সমীরণ পাল, সন্দীপ সরকার, উত্তর ২৪ পরগনা: সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College Hospital) দালালচক্রের অভিযোগের ঘটনায় নতুন মোড়! মদন মিত্রের (Madan Mitra) অভিযোগে নাম থাকা এক অভিযুক্তের তৃণমূল (TMC)-যোগ সামনে এল! অভিযুক্ত জাভেদ আলির সঙ্গে একাধিক ছবি রয়েছে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ও কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের। আর এই ছবিগুলি সামনে আসতেই সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।
খোদ অধ্যক্ষকে পর্যন্ত হুমকি: সম্প্রতি কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দালালরাজ নিয়ে সরব হয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন মদন মিত্র! মঙ্গলবার এ নিয়ে খোদ অধ্যক্ষকে পর্যন্ত হুমকি দিতে শোনা গেছে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ককে!
কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলছেন, 'আমি কি হরিদাস পাল নাকি... হ্য়ালো হ্য়ালো করছেন কেন? ন্য়াকামি করছেন? আপনি বিকেল ৪টের সময়ে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন কেন? আমি তো অবাক হয়ে যাচ্ছি, মদন মিত্র আসছে জেনেও, আপনি বেরিয়ে গেলেন কী করে? একটা কলেজের প্রিন্সিপাল, ৩ লাখ টাকা মাইনে, আপনি সকালবেলা আধঘণ্টা আসবেন, আর চলে যাবেন? এত বড় দালালি হয়েছে, FIR করেননি কেন? দরকার হলে মুখ্য়মন্ত্রীকে জানাব'।
মূল পাণ্ডার তৃণমূল যোগ ? এবার সেই দালাল চক্রের মূল পাণ্ডার তৃণমূল যোগ সামনে এল! রোগী মৃত্যুর ঘটনায়, শনিবারই সাগর দত্ত হাসপাতালে গিয়ে, দালাল-চক্রের অভিযোগ তুলে ২ জনের নাম নেন মদন মিত্র। মোকিম খান এবং জাভেদ আলি। এদের মধ্য়ে মোকিম খান ইতিমধ্য়েই গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু জাভেদ এখনও অধরা!
এবার সেই জাভেদ আলির সঙ্গেই তৃণমূলের নেতা-বিধায়ক-সাংসদদের একাধিক ছবি সামনে এল। একটি ছবিতে একেবারে তৃণমূলের পতাকা হাতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। দালাল চক্রের অভিযোগ তুলে, মদন মিত্র যে দুটি নাম বলেছেন, তাতেও ছিল জাভেদের নাম! জাভেদেরই একটি ছবি এদিন সামনে এল, যেখানে মদন মিত্রর পাশে দাঁড়িয়ে।
আবার অন্য ছবিতে মদন মিত্রর বুকে ব্যাজ পরিয়ে দিচ্ছেন অভিযুক্ত যুবক! আরেকটি ছবিতে, দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দিতে দেখা যাচ্ছে অভিযুক্ত জাভেদ আলিকে। একটি দোকানের বাইরে সৌগত রায়ের পাশে বসে রয়েছেন জাভেদ! এই ছবিগুলি সামনে আসার পরই আক্রমণে নেমেছে বিরোধীরা। সাগরদত্তে দালালরাজে তৃণমূল যোগ? অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে মদন-সৌগতর ছবি!
বিরোধীদের অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। এদিকে, এবার কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দালাল-চক্রের অভিযোগ নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে জমা পড়ল তদন্ত রিপোর্ট। আগেই অ্য়ানাস্থেশিয়া বিভাগের প্রধান সুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ! সূত্রের খবর, সেই তদন্ত কমিটি এবার মৃত রমেশ হালদারের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করবে।
আরও পড়ুন: Dengue Update: ডেঙ্গি মোকাবিলায় হাসপাতালে ৩০০ বেডের ব্যবস্থা কলকাতা পুরসভার