আশাবুল হোসেন, কলকাতা: সাগরদিঘি (Sagardighi) বিপর্যয়ের পর দলীয় স্তরে তদন্তের নির্দেশ। দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের রিপোর্ট দিতে হবে, নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। সামগ্রিকভাবে সংখ্যালঘুরা কি তৃণমূলের (TMC) থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন? প্রশ্ন তৃণমূলের অন্দরে। যদি সংখ্যালঘুরা মুখ ফেরান, তবে কেন ফেরাচ্ছেন? প্রশ্ন তৃণমূলের।
গত ১২ বছরে প্রচুর কাজ হয়েছে সংখ্যালঘুদের জন্য, ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলে খতিয়ে দেখে পর্যালোচনা করতে হবে। সাগরদিঘির ঘটনা নিয়ে দুই মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, সাবিনা ইয়াসমিন ও বিধায়ক জাকির হোসেন-সহ ৫ জনকে রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর আলাদা করে ৫ জনের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর।
সাগরদিঘিতে বড় ব্য়বধানে হার এবং ত্রিপুরায় খাতা খুলতে না পারার পর মুখ খুললেন একের পর এক তৃণমূল নেতা। মদন মিত্র বললেন, দলকেও মাঝেমধ্যে সিটি- অ্যাঞ্জিওর এর মধ্যে আসতে হবে! না হলে বুঝবে কী করে, ঈশান কোণে কোথায় মেঘ জমে আছে।
এই প্রশ্ন উঠছে, কারণ, মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে বাম-কংগ্রেস জোটের বিরাট জয়ের পর মুখ খুলতে শুরু করেছেন তৃণমূলের অনেক নেতা, বিধায়ক, সাংসদ। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সবার গলাতেই দলের উদ্দেশে আত্মসমীক্ষার বার্তা। মদন মিত্র তো সাগরদিঘির হার নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য় করেছেন।
আরও পড়ুন, 'হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই অনুব্রতকে কলকাতায় আনতে হবে', নির্দেশ সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের
কোচবিহারের তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম রায় তো সাগরদিঘির ফলের সঙ্গে কার্যত ঊনিশের লোকসভা ভোটের তুলনা টেনেছেন! ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, সাগরদিঘি অশণি সঙ্কেত। আর সাগরদিঘির পোষ্ট মর্টেম প্রয়োজন। নীচু তলার সত্যিকারের আসল খবর উপরতলায় যাওয়া দরকার। সাগরদিঘি বোধহয় আমাদের ঊনিশের পর আরেকটি শিক্ষা।