কলকাতা:  সাগর দত্ত হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের উপর হামলা-কাণ্ডে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের শো-কজ। ওইদিন ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে যাঁরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের শো-কজ করলেন হাসপাতাল সুপার। নিরাপত্তারক্ষী যাঁরা সরবরাহ করেন, সেই সংস্থাকেও শো-কজ করলেন হাসপাতালের সুপার। হামলাকাণ্ডের পর ফিরল হুঁশ, হাসপাতালে লাগানো সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়াচ্ছে হাসপাতাল। আগে ছিল ২৪৪টি ক্যামেরা, আরও ৩৩০টি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে হাসপাতালের তরফে।  


শুক্রবার সাগর দত্ত মেডিক্যালে ঢুকে জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর রীতিমতো হামলা চালায় রোগীর আত্মীয়রা। আর এই ঘটনার প্রসঙ্গ এবার উঠে এল সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলার শুনানিতে। সিনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবীর তোলা এই ইস্যুতে, পাল্টা ডাক্তারদের না আসার কারণে রোগীমৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করলেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী। যা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন চিকিৎসকরা। 


চিকিৎসরা গাফিলতিতে রোগী মৃত্য়ুর অভিযোগে ধুনধুমার। আক্রান্ত চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্য়কর্মী। শুক্রবারের এই ঘটনার পর থেকে লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন সাগর দত্ত মেডিক্যালের জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার আর জি কর মামলার শুনানিতেও সুপ্রিম কোর্টে উঠে আসে সাগর দত্ত মেডিক্য়াল কলেজে হামলার প্রসঙ্গ। এই সবের মধ্যেও ২ টো হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২৭ সেপ্টেম্বর সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, উন্মত্ত জনতা ঢুকে হামলা করেছে। পুলিশ, বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী, রাত্তিরের সাথী এরা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল। দ্বিতীয় হামলার ঘটনা ঘটেছে রবিবার। রাজ্য় সরকারের আইনজীবীর বক্তব্য়ের তীব্র বিরোধিতা করেছেন সাগর দত্ত মেডিক্য়াল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা।


আরও পড়ুন, 'সোশাল মিডিয়ায় এখনও নিহত চিকিৎসকের ছবি', অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত রাজ্যের : সুপ্রিম কোর্ট


এদিকে সোমবার বিকেলে আচমকাই সাগর দত্ত মেডিক্য়াল কলেজের ধর্নামঞ্চ থেকে খুলে নেওয়া হয় লাইট, ফ্যান। প্রথমে কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি আন্দোলনকারী জুনির চিকিৎসকরা। কিন্তু সাউন্ড সিস্টেম সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। সাউন্ড সিস্টেম খুলে যে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল,সেই গাড়ির সামনেই বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিকে সাগর দত্ত মেডিক্য়াল কলেজে হামলায় ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্য়া ৪ থেকে বড়ে হল ৬। মৃত রোগীর পরিবারের আরও দুই সদস্য়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। উল্টোদিকে চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্য়ুর অভিযোগে পাল্টা জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ৩৬ বছর বয়সী মৃত রোগিণী রঞ্জনা সাউয়ের স্বামী।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।