জয়ন্ত পাল ও রঞ্জিত সাউ, বিধাননগর: সল্টলেকের (Saltlake) এস এ ব্লক এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘিরে রহস্য। রাস্তার ধারে নর্দমা থেকে উদ্ধার রক্তাক্ত মৃতদেহ। প্রাতর্ভ্রমণের (Morning Walk) বেরিয়ে মৃত্যু বলে দাবি পরিবারের। খুন নাকি দুর্ঘটনা (Accident)? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


যুবকের রহস্যমৃত্যু: বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে মাঝ বয়সী ব্যক্তির রহস্যমৃত্যু। রাস্তার ধারে নর্দমায় উদ্ধার রক্তাক্ত মৃতদেহ। এই ঘটেছে সল্টলেকে এস এ ব্লক (Saltlake S A Block)।  খুন নাকি দুর্ঘটনায় মৃত্যু? উঠছে একাধিক প্রশ্ন। মৃতের নাম তপন দাস। বয়স ৪৫ বছর। শনিবার সকাল ৭টা নাগাদ মাত্র ২টো বাড়ি পড়েই রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ।


কীভাবে ঘটল এই ঘটনা? পরিবার সূত্রে খবর, এদিন প্রাতঃভ্রমণের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তপন। পরে প্রতিবেশীরা তাঁকে রাস্তার ধারে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে বিধাননগর হাসপাতালে (Bidhannagar Hopital) নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের ভাই  স্বপন দাস বলেন, “সকালে হাঁটতে গিয়েছিল। প্রতিবেশীরা জানায় যে রাস্তায় পড়ে গিয়েছে। শুনে আমরা যাই।‘’ঘটনায় ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অসুস্থ থাকার কারণেই কি হাঁটতে বেরিয়ে রাস্তায় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির? নাকি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন তিনি? সবদিক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। 


উল্লেথ্য চলতি সপ্তাহেই বছর ছাব্বিশের এক যুবতীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়ায় জগদ্দল (Jagaddal) থানার শ্যামনদরের গুড়দহ মাতৃপল্লীতে। মঙ্গলবার রাতে শ্যামনগর স্টেশন সংলগ্ন ২৫ ও ২৬ নম্বর রেলগেটের মধ্যে থেকে ওই যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয় তাঁর প্রেমিককে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত তরুণীর নাম রিয়া মুখোপাধ্যায়। জগদ্দল থানার শ্যামনগরের গুড়দহ মাতৃপল্লীর বাসিন্দা রিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল শালবাগান এলাকার বাসিন্দা অসীম হাওলাদার ওরফে বুটুর। জানা গিয়েছে, দেহ উদ্ধার করাকালীন মৃত যুবতীর হাতে ছিল মোবাইল ফোন এবং কানে হেডফোন ছিল। মৃতার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত প্রেমিকই এই ঘটনার কথা তাঁদের জানায়।


আরও পড়ুন: Birbhum Violence: রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে দমকলের থেকে রিপোর্ট নিল সিবিআই