রামপুরহাট: রামপুরহাট (Birbhum Violence Update) হত্যাকাণ্ডে সিটের থেকে তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই (CBI)। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে দমকলের (Fire bRigade) থেকেও রিপোর্ট নিল সিবিআই। ঘটনার রাতে কারা গিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে, তালিকা তৈরি করছে সিবিআই। পাশাপাশি, ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করছে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল(Central Forensic Team)।
তদন্ত প্রক্রিয়া: সিবিআই সূত্রে খবর, থ্রি-ডি স্ক্যানারের মাধ্যমে আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আগুন বাইরে থেকে নাকি ভিতর থেকে লাগানো হয়েছিল দেখা হচ্ছে তাও। কটা নাগাদ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, পুলিশের ভূমিকা কী ভূমিকা ছিল, সবই খতিয়ে দেখছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। ডিআইজি অখিলেশ সিংয়ের নেতৃত্বে গতকালই রামপুরহাটে পৌঁছয় সিবিআইয়ের ৩০ জনের দল। আজ সকালে রামপুরহাট থানায় গিয়ে তারা মামলার সমস্ত নথি, কেস ডায়েরি সংগ্রহ করে। এরপর বগটুই গ্রামে গিয়ে পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলি ঘুরে দেখেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। সাঁইথিয়ার বাতাসপুরে আশ্রয় নেওয়া স্বজনহারা পরিবারগুলির সঙ্গেও কথা বলবে সিবিআই।
বগটুইয়ের তদন্তে CBI’এর একাধিক টিম। তদন্তে নামার আগে শনিবার সকালে হোটেলে বৈঠক করে CBI। DIG অখিলেশ সিংয়ের নেতৃত্বে সিবিআইয়ের একটি দল রামপুরহাট থানায় গিয়ে মামলার কেস ডায়েরি ও নথিপত্র সংগ্রহ করেন। এরপর CBI এবং ফরেন্সিক আধিকারিকদের অন্য দু’টি দলকে নিয়ে তাঁরা পৌঁছন বগটুই গ্রামে। নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয় CISF’কে। বগটুইয়ে তদন্ত শুরু CBI’এর। সোমবার রাতে তৃণমূল নেতা খুনের পরে বগটুই গ্রামে ৮ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করে আততায়ীরা। যে বাড়িগুলি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেখানে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেন গোয়েন্দারা।
যে কেস ডায়েরি রামপুরহাট থানায় দেওয়া হয়েছে, সেই নথির সঙ্গে নিজেদের চোখে কী দেখতে পাচ্ছেন, তা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে, সিবিআই সূত্রে খবর, এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে কি না, SIT-এর আধিকারিকদের দেওয়া বয়ানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখছেন। গত সোমবার ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল সোনা শেখের বাড়িতেই। সেই বাড়ির ছাদ, বারান্দা থেকে প্রত্যেকটি ঘর তন্ন তন্ন করে পরীক্ষা করা হয়। পুড়ে যাওয়া মোট ১১টি বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে 3D স্ক্যানার ও ভিডিওগ্রাফি । সোমবার রাতে কীভাবে হামলা চালায় আততায়ীরা? আগুন বাড়ির বাইরে থেকে লাগানো হয় না ভিতর থেকে? উত্তর খুঁজতে 3D স্ক্যানার-সহ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেন কেন্দ্রের গোয়েন্দারা। পুড়ে যাওয়া প্রতিটি ঘর ও ঘরের বাইরের অংশ ভালো করে পরীক্ষা করার পরে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দলের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।