রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: সল্টলেকে বিধ্বংসী আগুন। সন্ধে সাড়ে ৭ টা নাগাদ ফাল্গুনী আবাসন সংলগ্ন ঝুপড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। মুহূ্র্মুহু বিস্ফোরণের শব্দে তীব্র আতঙ্কে এলাকাবাসীরা। পুড়ে ছাই প্রায় ৫০ টি ঘর। ঘটনাস্থলে দমকলের ১০ টি ইঞ্জিন। ঘনবসতি এলাকা হওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। আতঙ্কে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় স্থানীয়দের মধ্যে। সন্ধে ৭টায় আগুন লাগার ২ ঘণ্টা পরেও আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে এর জন্য বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করা হল গোটা এলাকা।                                                                                               


এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে বিস্ফোরণের শব্দ হতে থাকে। ঝুপড়িবাসীদের পাঠানো হল স্থানীয় কমিউনিটি হলে । ইতিমধ্যেই আগুনের গ্রাসে গিয়েছে শতাধিক ঝুপড়ি। ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। এই ঘটনার জেরে আশ্রয়হারা হয়েছেন অনেকেই। আগুনের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। ওই এলাকায় গিয়েছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও।  



রাত ৮ টা ৪০ নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলমন্ত্রী। ঝুপড়িবাসীদের নতুন করে ঘর তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।  দমকলমন্ত্রী বলেন, 'কী থেকে আগুন বোঝা যাচ্ছে না। বস্তিতে সিলিন্ডার ছিল। ১২ টার মতো সিলিন্ডার বার করা হয়েছে। বস্তিতে শ খানেকের মতো বাড়ি ছিল। ক্যাজুয়ালিটি নেই। অনেক সিলিন্ডার ব্লাস্ট করেছে'। 


সংকীর্ণ জায়গা হওয়ায় আগুন নেভানোর কাজে সমস্যার মুখে পড়তে হয় দমকলকর্মীদের। তাঁদের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারাও। বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, 'অনেক সিলিন্ডার ফেটেছে, আমরা অনেককে সরিয়েছি। তাঁদের ফাল্গুনী বাজারে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেব। মাথার ছাদের ব্যবস্থাও করা হবে'। 


দমকলের কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। তারপর পোড়া ছাই ঘেঁটে শেষ সম্বল উদ্ধারের চেষ্টা করেন ক্ষতিগ্রস্তরা। কিন্তু কী ভাবে এত বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল? শর্ট সার্কিট? রান্নার সিলিন্ডার থেকে বিপত্তি? আগুন লাগার সঠিক কারণ খতিয়ে দেখছে দমকল।