রঞ্জিত সাউ, সল্টলেক: মোবাইলই গেমই (Mobile Game) কি মর্মান্তিক পরিণতি ডেকে আনল? অন্তত এমনটাই মনে করা হচ্ছে সল্টলেক (Saltlake) দত্তাবাদের (Duttabad) ঘটনায়। বুধবার বাড়ি থেকে উদ্ধার গৃহবধূর ঝলন্ত দেহ (Body Rescued)। এদিন আত্মঘাতী (Suicide) হন পিউ হালদার। ঘটনায় গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছে স্বামী সঞ্জয় হালদারকে। বুধবার বিকালের ঘটনা। 


গতকাল বিকালে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূর (Housewife suicide) মৃতদেহ উদ্ধার হয় সল্টলেক (Saltlake) দত্তাবাদে (Duttabad)। শ্বশুরবাড়ির অভিযোগ, প্রায় সারাদিনই মোবাইলে অনলাইন গেম খেলত পিউ হালদার, গেম খেলতে বাধা দেওয়ায় হয়েছেন আত্মঘাতী গৃহবধূ পিউ।


যদিও মৃতার পরিবারের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মারধর করত পিউকে। সেই কারণেই আত্মঘাতী হন পিউ। যদিও কী কারণে এই ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। অনলাইন গেম খেলতে বাধা নাকি মারধরের কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি তার তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ।


পিউ-এর বাবা-মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আত্মঘাতী গৃহবধূর স্বামী সঞ্জয় হালদারকে গ্রেফতার করেছএ বিধাননগর দক্ষিণ থানা পুলিশ। 


সম্প্রতি হাওড়ার এমন একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ফুলশয্যার ভোরে আত্মঘাতী (Suicide Groom) হন বর । মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) শালিমার (Shalimar) এলাকায়। কেন এমন মর্মান্তিক ঘটনায় নানান প্রশ্ন উঠেছে।  কেন এমন ঘটল, তা জানতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। 


হাওড়ার শালিমার এলাকার যুবক আদর্শ সাউয়ের সঙ্গে গত ৭ ডিসেম্বর বিয়ে হয়েছিল ব্যারাকপুরের বাসিন্দা বর্ষা কুমারীর। প্রেমের বিয়ে নয়, দেখাশোনা করে দু'জনের বিয়ের ঠিক করেছিলেন দুই পরিবারের লোকজন। জানা গিয়েছে, পেশায় গাড়ি চালক ছিলেন আদর্শ সাউ। তাঁর এই বিয়েতে সম্মতিও ছিল। ধুমধাম করে বিয়েও হয়েছিল। দুই পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব সামিল হয়েছিলেন বিয়ের অনুষ্ঠানে। 


এরপর ফুলশয্যার দিনই বিপত্তি। ভোরে কনে বর্ষা কুমারী ঘুম থেকে উঠে ওয়াশরুমে গেলে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। তিনি ফিরে এসে দেখেন বাসর ঘরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন তাঁর স্বামী আদর্শ। এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠেন কনে। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন সবাই। কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে আদর্শ সাউকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। আদর্শর মৃতদেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।