কলকাতা: উচ্চ মাধ্যমিকে (HS) কেন ফেল করানো হয়েছে? সোমবার (Monday) সকাল থেকে এই নিয়ে দফায় দফায় উত্তজনা ছড়ায় শহরের একাধিক জায়গায়। পাস করানোর দাবিতে কসবার পর শিক্ষা সংসদের সামনে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার বাধে। এ প্রসঙ্গে শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, 'গতবারে পরীক্ষা হয়নি, তাই ১০০ শতাংশ পাস। সবাই তো পাস করবে এমন নয়। প্রায় ৮০ হাজার অনুত্তীর্ণদের মার্কশিট ইমেল করে পাঠানো হয়েছে'।


কসবায় উত্তেজনা:  এ দিন সকালে উচ্চ মাধ্যমিক অনুত্তীর্ণদের পাস করানোর দাবিতে পথ অবরোধ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় কসবায়।  তাঁদের দাবি, সবাইকে পাস করাতে হবে। অবরোধে আটকে পড়া যাত্রীরা অবরোধ হটাতে নিজেরাই নেমে পড়েন। এই নিয়ে দু’পক্ষে বচসা, হাতাহাতিও হয়। এ দিকে ফেল করে পাস করানোর দাবিতে সোমবার জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখান অনুত্তীর্ণরা। পড়ুয়াদের এই প্রবণতার কড়া সমালোচনা করেছেন শিক্ষাবিদরা। 


সোমবার বিকেল, চূড়ান্ত দৌড়দৌড়ির ছবি প্রকাশ্যে আসে। একঝলক দেখলে মনে হবে স্কুল পড়ুয়াদের দৌড় প্রতিযোগিতা। সল্টলেকে বাইপাসের ওপর দিয়ে দৌড়চ্ছে একদল ছাত্র-ছাত্রী। নাহ, কোনও প্রতিযোগীতা নয়, এরা উচ্চমাধ্যমিকে পাস করতে পারেনি। অকৃতকার্য এই পড়ুয়াদের দাবি, তাদের অবিলম্বে পাস করাতে হবে। পাস করানোর দাবিতে সোমবার, শিক্ষা সংসদের সামনে বিক্ষোভ দেখায় উচ্চমাধ্যমিক ফেল পড়ুয়ারা। সোমবার ইন্দিরা ভবনের সামনে, ধুন্ধুমার পরিস্থিতি বাধে। বিকাশ ভবনের দিকে যেতে গেলে, বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। 


সংসদের সভাপতির বক্তব্য: উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, পাশের হার ছিল এত, আনসাকসেসফুল ১১.৫৬ শতাংশ। প্রায় ৮০ হাজারের কাছাকাছি। এবার রেজাল্ট তুলনামূলকভাবে ভাল। প্রথম দশে ২৭২ জন। পরীক্ষা দিলে কেউ না কেউ তো ফেল করবেই। এতে আমাদের কিছু করার নেই। পাস করিয়ে দেওয়ার দাবি। গতবার পরীক্ষা হয়নি। তাতে পাস করানো হয়। পরীক্ষা ব্যবস্থায় পাস-ফেল প্রথা থাকবে। কোনও অভিযোগ থাকলে, পোস্ট পাবলিকেশন স্ক্রুটিনি, রিভিউ ওপেন করছি। খুটিয়ে দেখব। পাশ করার মতো অবস্থায় থাকলে, নিশ্চয়ই করবে।