সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা : বেশ কয়েক মাস আগে বেহালায় পথ দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছিল ছোট্ট শিশুর প্রাণ। বাঁশদ্রোণীতে পে-লোডারের ধাক্কায় কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বাঁশদ্রোণীর পর এবার সল্টলেক। ফের বেপরোয়া গতির বলি হল খুদে পড়ুয়া। সল্টলেক ২ নম্বর গেটের কাছে দুটি বাসের রেষারেষির জেরে দুর্ঘটনা ঘটে । স্কুল থেকে ফিরছিল ওই পড়ুয়া। ওই সময় বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় পড়ুয়ার। ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন প্রত্যক্ষদর্শীরা। দেহ নিয়ে পথ অবরোধ করেন তাঁরা।  উত্তেজিত জনতা বাস ভাঙচুর করে। এর জেরে বাইপাস জুড়ে যানজট তীব্র।  


সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সল্টলেকের স্কুল থেকে বেরনোর পর ২ নম্বর গেটের দিকে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে আসছিলেন মা। ছোট্ট ছেলেটি ছিল স্কুটির পিছনে বসে। স্কুটির  সামনে ছিল আরও একটি শিশু। সে ওই মহিলারই আত্মীয়। তার বয়স আরও কম। এই সময় প্রচণ্ড গতিতে রেষারেষি করতে করতে আসা  ২১৫ রুটের একটি বাস পিছন থেকে ধাক্কা মারে স্কুটিটিকে। মাথায় আঘাত লাগে আয়ুষের। প্রথমে তাকে নর্থ সিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে অন্য় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। 


স্থানীয়দের দাবি, এই  রাস্তায় এই প্রথমবার নয়। এই রাস্তা খুবই দুর্ঘটনাপ্রবণ। আর বাসের এই রেষারেষি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। তাই মঙ্গলবারের ঘটনার পর  ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। তাঁরা রাস্তা অবরোধ করেন। পুলিশ বাধা দিতে গেলে দফায় দফায় পুলিশকে ঘিরে আরও জোরালো হয় বিক্ষোভ। এর জেরে জ্যাম বাড়তে থাকে ই এম বাইপাসে। পরে অবশ্য পুলিশে আশ্বাসেই অবরোধ তোলেন তাঁরা। 


এই বছরই মহালয়ার দিন কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডে টিউশন পড়তে গিয়ে পে লোডারের ধাক্কায় মৃত্যু হয় ১৫ বছরের সৌম্য শীলের। স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েক বছর ধরে রাস্তা বেহাল, পুরসভার কোনও হেলদোলই নেই, তাই এই দুর্ঘটনা। এই ঘটনার পর পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। গত বছর অগাস্ট মাসে বেহালায় স্কুলে ঢোকার আগেই পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ছোট্ট শিশুর।                     


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে