কলকাতা: ১০ বছরে কতগুলি কলেজ তৈরি হয়েছে রাজ্য়ে? প্রশ্ন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শমীক বলেন, “সরকার বলছে, তারা তাদের কাছে যে পরিকল্পনা ছিল, তা ১০ বছরের মধ্যেই সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন। ১০ বছরে কতটা কলেজ তৈরি করেছেন? সেখানে সরকার কোন পরিকাঠামো তৈরি করেছে? ঘোষণা সর্বস্ব একটা সরকার।‘’ তাঁর কথায়, “কলেজে ২ জন ছাত্র, সেটাও একটা কলেজ। সবাই এটুকু জানেন, যে ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার নামে যে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে, সেখানে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। অন্য জায়গার পার্টটাইমার দিয়ে কাজ চলছে।‘’ সরকার মূলধন ব্যয় নিয়ে কী ভাবছে? প্রশ্ন শমীকের।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে তোপ দাগেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র। শমীক বলেন, “স্রেফ খেলা, মেলা ডোল গিভিং পলিটিক্স। নতুন বিনিয়োগ নেই। সকরারি শূন্যপদ ফিল আপ করতে পারছে না। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে নাকি প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন। শিশুদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন বলছেন, পর্যাপ্ত আছে। সে তো পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হয় না। কেন্দ্র বৈমাতৃসুলভ আচরণ করেনি।‘’
একইসঙ্গে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়েও কটাক্ষ করেন শমীক। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে নার্সিংহোমে যাচ্ছেন। ডাক্তার নেই। সরঞ্জাম নেই। জেলা হাসপাতালে রেফার করে দিচ্ছে। রাবার স্ট্যাম্পের কাজ ররছে। কথায় কছায় রেফার করে দিচ্ছেন পিজিতে এনআরএসে। বীরভূমে মেডিক্যাল কলেজ। মেডিক্যাল কাউন্সিল যখন গেছেন, তখন অন্য হাসপাতাল থেকে সরঞ্জাম এনে ধূলো দেওয়া হচ্ছে চোখে। সেই সুপার স্পেশালিটি হাসপাচালের নামে সার্কাস চলছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে বাংলরা স্বাস্থ্য পরিষেবা। শুধু কেন্দ্রের বিরোধিতা করতে গিয়ে। একটা অবৈজ্ঞানিক স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে এসে চাপে ফেলে দিয়েছেন। সরকারি যারা চিকিৎসক আছেন, তাদের যে ট্রান্সফার পলিসি, সেটা কোন জায়গায় পৌঁছেছে। চরম ক্ষোভ দানা বেধেছে। ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করেছে।‘’
আরও পড়ুন: Jhalda Murder Update: ৯ দিন পরেও অধরা অভিযুক্ত, কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে ভাইপোকে জিজ্ঞাসাবাদ সিটের