সন্দেশখালি: বুধবার ভোলানাথ ঘোষের গাড়িতে ধাক্কা মারার পর থেকে উধাও ঘাতক ট্রাকের চালক। অভিযোগকারী যে আলিম মোল্লার নামে অভিযোগ করছেন, তাঁর নাম সন্দেশখালিতে ED-র উপর হামলার ঘটনায় চার্জশিটে রয়েছে। তাঁর নামে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্টও জারি হয়েছে। তারপরও কীভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আলিম? উঠছে প্রশ্ন।
বুধবার বাসন্তী হাইওয়েতে ভোলানাথ ঘোষের গাড়িতে ধাক্কা মারার পর থেকেই, বেপত্তা ঘাতক ট্রাকের চালক। কিন্তু, সেই সময় ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন কে? যে ট্রাকের ধাক্কায় দু-দু'জনের প্রাণ চলে গেল, সেই ঘাতক ট্রাকের স্টিয়ারিংয়ে হাত ছিল কার? এই প্রেক্ষাপটেই যার নাম নিচ্ছেন পুত্রহারা ভোলানাথ ঘোষ, তিনি হলেন আলিম মোল্লা।
সন্দেশখালিতে ED-র উপর হামলার ঘটনায় যাঁর নাম CBI চার্জশিটে রয়েছে। তাঁর নামে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্টও জারি হয়েছে। বুধবারের ঘটনার পর তাঁর বিরুদ্ধে থানায় FIR করেছেন ভোলানাথ ঘোষ।
এদিকে, অভিযুক্ত আলিম মোল্লার বাড়িতে পৌঁছেছে এবিপি আনন্দ। কিন্তু বুধবার ঘটনার পর থেকেই বাড়িতে নেই তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পরিবার।
অভিযুক্ত আলিম মোল্লার স্ত্রী রোশনারা বিবি, আগারহাটি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। স্ত্রীর দাবি, 'পরিকল্পনা করে বিজেপি পার্টি ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। ভোলা ঘোষ তো প্রথমে বলছে যে, আমি দেখিনি কাউকে। তারপর ৩টের সময় থেকে বলল কেন, ওকে পুরো পরিকল্পনা করে।'
গত বছর ৫ জানুয়ারি মাসে, সন্দেশখালিতে ED-উপর হামলার ঘটনায় CBI-এর দ্বিতীয় চার্জশিটে যে ৫ জনের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হলেও চারজন পলাতক। চারজনের মধ্যে একজন আলিম মোল্লা। CBI সূত্রে দাবি, তাঁদের বিরুদ্ধে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি হওয়ার, ১ বছরে কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। শেষে বসিরহাট আদালত CBI-কেও গ্রেফতার করার অনুমতি দেয়।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে, আলিম মোল্লার মতো যাদের বিরুদ্ধে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি রয়েছে, তাঁরা এভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কী করে?
এদিকে পরিবহণ দফতরের তথ্য বলছে, ঘাতক ট্রাকের মালিক আব্দুস সামাদ মোল্লা। যিনি স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। এদিন তাঁকেও বাড়িতে পাওয়া যায়নি। পরিবারের দাবি, তাঁরা ওই ট্রাক আগেই নজরুল মোল্লা নাম এক ব্যাক্তিকে বিক্রি করে দিয়েছেন তাঁরা।
বুধবারের ঘটনার পর পুলিশে দায়ের হওয়া FIR-এ নাম রয়েছে, নজরুল মোল্লারও। কিন্তু তাঁকেও এদিন বাড়িতে পাওয়া যায়নি।