নয়াদিল্লি : ফের দলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। শুক্রবার রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের লোকসভার সদস্যদের বৈঠক ছিল। সেখানে দেখা গেল না তারুরকে। দলের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় তাঁর বারবার অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। যদিও কোনও কোনও সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, এনিয়ে আগাম দলীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছিল। কংগ্রেসের মুখ্য সচেতন অবশ্য দাবি করেছেন, সাংসদের অনুপস্থিতির কারণ তাঁর জানা নেই।

Continues below advertisement

তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষে মন্তব্য করার পর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে যিনি সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন । এহেন শশী তারুরের সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে কংগ্রেসের লোকসভার সমাবেশে অনুপস্থিতির একটি ধারা অব্যাহত রয়েছে।

তাঁর সূচি অনুসারে, তারুর গত রাতে প্রভা খৈতান ফাউন্ডেশন আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য কলকাতায় ছিলেন, যা ইঙ্গিত দেয় যে তিনি সভার জন্য সময়মতো দিল্লিতে ফিরে আসেননি। এর আগে তারুর স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন যে, তিনি ৩০ নভেম্বর কংগ্রেসের কৌশলগত বৈঠক ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে যাননি। যখন ওই মিটিং হচ্ছিল, তখন তিনি কেরল থেকে ফ্লাইটে আসছিলেন। ১ ডিসেম্বর তিনি বলেন, "আমি এড়িয়ে যাইনি। আমি বিমানে ছিলাম। কেরল থেকে ফিরছিলাম।" অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তারুর এর আগে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) ইস্যুতে কংগ্রেসের আলোচনায়ও অনুপস্থিত ছিলেন। তখন তাঁর অফিস থেকে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল যে, সাংসদ তাঁর ৯০ বছর বয়সী মায়ের সঙ্গে কেরল থেকে বিমানে ছিলেন এবং সময়মতো দিল্লিতে পৌঁছাতে পারেননি।

Continues below advertisement

তারুরের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক যে আগের জায়গায় নেই, তা নিয়ে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে বিগত কয়েক মাস ধরেই। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমঞ্চে থাকা হোক বা মোদির প্রশংসা করা, দলকে টপকে ভারত সরকারের প্রতিনিধি হয়ে বিদেশ সফরে যাওয়া, এসবে জেরে দূরত্ব বেড়েছে বলে জোর গুঞ্জন দিল্লিতে।

সম্প্রতি রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র নিয়ে একটি লেখা প্রকাশ করেন তারুর, যাতে নেহরু-গাঁধী পরিবারের উল্লেখ টানেন। সেই নিয়ে বিজেপি-র তরফে জোর প্রচারও চালানো হয়। আর তার পরই আডবাণীর প্রশংসা এবং নেহরু-ইন্দিরার সঙ্গে তুলনা করে মন্তব্য। আডবাণীর সঙ্গে পুরনো একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘জনসেবার প্রতি ওঁর অটল অঙ্গীকার, বিনয় ও শালীনতা বোধ এবং আধুনিক ভারতের গঠনে ওঁর ভূমিকা মোছা যাবে না। একজন সত্যিকারের রাষ্ট্রনায়ক, যাঁর সেবামূলক জীবন সকলকে অনুপ্রেরণা জোগায়’। তাই প্রশ্ন উঠছে, কংগ্রেসের বিরাগভাজন হয়ে বিজেপি-র প্রতি কি নরম হচ্ছেন তারুর ? দল বা তারুর নিজে সে নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি।