পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali) চাপের মুখে তৎপর প্রশাসন। আজ থেকে শুরু হচ্ছে জনসংযোগ কর্মসূচি। সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করে শোনা হবে গ্রামবাসীদের অভাব-অভিযোগ। ক্যাম্পে থাকবেন ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা।                                                         


শেখ শাহজাহান ও তাঁর দুই শাগরেদ শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে বসতভিটে বা চাষের জমি কেড়ে, মাঠ দখল করে, একের পর এক ভেড়ি বানানোর ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ প্রশমনে এবার জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করল প্রশাসন। 


সন্দেশখালিকাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল ব্লক সভাপতি শিবু হাজরা। যদিও ৪৫ দিন পরেও অধরা মাস্টারমাইন্ড শেখ শাহজাহান। সুবিচারের দাবিতে সরব গ্রামবাসীরা। এই পরিস্থিতিতে আগামী ৩ মার্চ সন্দেশখালিতে সভা করবে তৃণমূল। তার আগে গ্রামবাসীদের মন বুঝতে আজ সেখানে যাচ্ছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুজিত বসু, পার্থ ভৌমিক এবং তৃণমূলের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম। সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের ন্যাজাট থানা এলাকায় সেহেরা-রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সেয়ারা বাজারে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলবেন মন্ত্রীরা। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণ দেখিয়ে বিরোধীদের আটকেছে পুলিশ। সেখানে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল কী করে অনুমতি পাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।


আরও পড়ুন, শীত কি তবে শেষ? নাকি বৃষ্টির হাত ধরে ফিরবে ঠান্ডার আমেজ? বড় বার্তা আবহাওয়া দফতরের


এদিকে, সন্দেশখালিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য শিবু হাজরাকে আজ বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। গতকালই শিবু ও শেখ শাহজাহানের আরেক শাগরেদ তৃণমূলের সাসপেন্ডেড নেতা উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও গণধর্ষণের মামলা রুজু করে পুলিশ।


এরপরই ন্য়াজাট থেকে গ্রেফতার হন শিবু হাজরা। শিবু ও উত্তমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশ। শিবুর বাগানবাড়ি, ভেড়ির অফিস, মুরগির খামার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। উত্তম গ্রেফতার হওয়ার আগে তাঁকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল। প্রশ্ন উঠেছে, এবার শিবুর বিরুদ্ধে কী কোনও ব্যবস্থা নেবে তৃণমূল নেতৃত্ব?