কলকাতা: ED-র ওপর হামলার ৫৬ দিনের মাথায় রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। পুলিশ (Police) সূত্রে খবর, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় ধৃত তৃণমূল নেতাকে ভোরেই নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতে। সেখানেই কোর্ট লক আপে রাখা হয়েছে শেখ শাহজাহানকে।             

  


তাঁর বিরুদ্ধে জমি জবরদখল থেকে শুরু করে নোনাজল ঢুকিয়ে জোর করে ভেড়ি তৈরি করা, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি-সহ ভুরিভুরি অভিযোগ রয়েছে গোটা সন্দেশখালিজুড়ে। গত কয়েকদিন ধরেই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন গ্রামবাসীরা। বারবার শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি দাবি করছিলেন তাঁরা। গতকাল সন্ধে থেকেই তৃণমূল নেতার খাস তালুক সরবেড়িয়া থেকে শুরু করে সন্দেশখালির বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চাপা উত্তেজনা ছিল। এরপরই খবর আসে শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হয়েছেন। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। আজই তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। 


এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'একটা ছিঁচকে মস্তানকে ধরতে এতদিন সময় লাগল। তাহলে যারা বড় বড় রাঘব বোয়াল ঘুরে বেড়াচ্ছে তাঁদের তো কোনওদিনই ধরতে পারবে না। তৃণমূলের নেতারাই তো বলে দিচ্ছে কাকে কবে ধরা হবে। সন্দেশখালির মানুষ নিরন্তর লড়াই করেছে।' বিজেপি নেতার কথায়, সর্বভারতীয় চাপের জন্যই পুলিশ বাধ্য হয়েছে এই গ্রেফতার করতে। দেশজুড়ে সংবাদমাধ্যমগুলিতে ডিবেট পর্যন্ত হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্দেশখালি, শেখ শাহজাহান হচ্ছে টপিক। সবাই জানতাম ওখানেই আছে। পুলিশই ধরছিল না। কোর্টের কানমলা খেয়ে এখন এই কাজ করেছে।'                 


আরও পড়ুন, অবশেষে গ্রেফতার শেখ শাহজাহান, ৫৫ দিন পর পুলিশের জালে 'সন্দেশখালির ত্রাস'


বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, 'শেখ শাহজাহান গ্রেফতার সম্ভব হয়েছে বিজেপির লাগাতার আন্দোলনের ফলে। সন্দেশখালির মা-মেয়ে-বোনেদের আক্রমণের ফলে এটা সম্ভব হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতৃত্ব প্রথম থেকেই এই অত্যাচার, এমন ঘটনা অস্বীকার করে আসছিলেন। আমরা বাধ্য করেছি গ্রেফতার করতে। আমাদের লাগাতার আন্দোলন-ধর্না চলছিল, চলবে। আজ মানুষকে ধন্যবাদ জানাব।' 


ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে আজই তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। র‍্যাফ, পুলিশে ছয়লাপ বসিরহাট মহকুমা আদালত চত্বর। সন্দেশখালির বিভিন্ন অংশে মোতায়েন বাড়তি পুলিশ বাহিনী।