আবির দত্ত, আব্দুল ওয়াহাব , পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : মাত্র ১০ দিনেই বদলে গেল ছবিটা। গ্রেফতারির দিন যে ঔদ্ধত্য চোখে পড়েছিল, রবিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশের সময় শেখ শাহজাহানের (Sandeshkhali Sheikh Shahjahan ) আচরণে তার সিকি ভাগও দেখা গেল না। রবিবার, শেখ শাহজাহানকে ৪ দিনের CBI হেফাজতের নির্দেশ দেয় বসিরহাট মহকুমা আদালত। ৫৬ দিনের মাথায় ধরা পড়ার পর শেখ শাহজাহানের শরীরি ভাষা বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল! অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, ভুরি ভুরি অভিযোগের পর গ্রেফতার হয়েও এত ঔদ্ধত্য আসে কীভাবে! কিন্তু, মাত্র দশদিনেই বদলে যায় সেই ছবি!
সেদিন দেখা গিয়েছিল, আগে আগে শেখ শাহজাহান!পিছে পিছে পুলিশ! সঙ্গে তার ঔদ্ধত্যের আস্ফালন অঙ্গুলিহেলনে। সেই দিনের এই ছবি পাল্টে যায় রবিবার! শেখ শাহজাহানের দুই হাত ধরে কোর্টে ঢোকালেন ২জন সিবিআই অফিসার। কেন শেখ শাহজাহানের শরীরি ভাষায় এই পরিবর্তন? মামলা সিআইডির থেকে সিবিআইয়ের হাতে চলে গিয়েছে বলেই কি চুপসি গিয়েছেন সন্দেশখালির বাঘ? আঙুল নাড়িয়ে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছিলেন যে শাহজাহান, ১০ দিন পর, রবিবার কার্যত চোখ নিচু করে ঢুকলেন আদালতে! হেফাজতের মেয়াদ শেষে রবিবার ফের বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে।
দীর্ঘ টালবাহানার পর রত বুধবার সন্ধে সাতটা নাগাদ শেখ শাহজাহানকে হাতে পায় CBI। রবিবার, আদালতে CBI-এর আইনজীবী সওয়াল করেন, শেখ শাহজাহান জামিন পেলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারেন। সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। বেশকিছু তথ্যপ্রমাণ উদ্ধার হয়েছে। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁকে হেফাজতে রাখা প্রয়োজন।
গোটা সন্দেশখালিকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে যিনি,সেই শেখ শাহজাহানের শুক্রবার প্রথমবার মুখ খোলেন। দাবি করেন, তিনি নির্দোষ। বলেন, ' সব মিথ্য়া। সব মিথ্য়া। প্রমাণ হবে। বিচার একদিন হবে ' রবিবার শেখ শাহজাহানের মেয়ে দাবি করেন, 'বাবা নির্দোষ। ফাঁসানো হয়েছে। আমার বাবা নির্দোষ। কোনও অন্য়ায়ের সঙ্গে আমার বাবা যুক্ত নয়। শুধু এটাই বলব মিথ্য়েভাবে ফাঁসানো হয়েছে বাবাকে।' শাহজাহানের মেয়ের দাবি,'সময় এলে প্রমাণ হবে। সব কিছু প্রমাণ হবে। আমার বাবা নির্দোষ। আমার বাবা কখনও কোনও অন্য়ায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। সময় এলে প্রমাণ হবে। সব কিছু প্রমাণ হবে' এদিন, শেখ শাহজাহানকে ৪ দিনের CBI হেফাজতের নির্দেশ দেয় বসিরহাট মহকুমা আদালত।
আরও পড়ুন :
'শাহজাহানের মাসি...সুকান্ত আর শুভেন্দু আপনাকে তাড়া করবে' শুভেন্দুর হুঙ্কার