সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : সন্দেশখালিতে যেতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি কৌশিক চন্দর অভিমত, 'সন্দেশখালির যেখানে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে সেখানে যেতে পারবেন বিরোধী দলনেতা'। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিচারক জানালেন, 'রাজ্য বলতে পারে না যে কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি সন্দেশখালি যাবেন না'।
গত বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি শুভেন্দু অধিকারী । তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির ৪ জন বিধায়ক। ধামাখালির আগে, রামপুর থেকেই কলকাতায় ফিরতে হয় তাঁদের। রামপুরে ব্যারিকেডের সামনে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে অবস্থানে বসে ছিলেন বিজেপি বিধায়করা। যে বাসে করে সন্দেশখালি রওনা দিয়েছিলেন, সেই বাসে করেই ফিরে আসতে হয় কলকাতায়। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু আধিকারী। ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যাওয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
এই মামলাতে এদিন বিচারকের পর্যবেক্ষণ, 'প্রশাসন অবশ্যই বিধি নিষেধ আরোপ করতে পারে, কিন্ত যাবেন না এটা বলতে পারে না। বিধিনিষেধ গ্রহণযোগ্য কি না বা সেখানে ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে কি না খতিয়ে দেখবে আদালত।'
বিচারক বলেন, ' সংবিধান অনুযায়ী ভারতবর্ষের যে কোনও নাগরিক যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন। রাজ্য বলতে পারে না যে কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি সন্দেশখালি যাবেন না। প্রশাসন অবশ্যই বিধি নিষেধ আরোপ করতে পারে। কিন্তু যাবেন না, এটা বলতে পারে না। সেই বিধি-নিষেধ আদৌ গ্রহণযোগ্য কি না, বা সেখানে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে কি না সেটা আদালত খতিয়ে দেখবে।'
এদিন হাইকোর্টে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী বলেন, 'কলকাতা হাইকোর্ট সন্দেশখালির ১৪৪ ধারা বাতিল করেছিল। ১৩ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ ১৪৪ ধারা খারিজ করেন। সেই দিনই ফের নতুন করে ১৪৪ ধারা লাগু করা হয়। নতুন কোনও কারণ পুলিশের তরফ থেকে দেখানো হয়নি।'
এদিন আদালতে সওয়াল জবাব চলাকালীন রাজ্যের আইনজীবী প্রশ্ন করেন, 'শুভেন্দু এলাকার বাসিন্দা নন, অনেক দূরে থাকেন, এমন ব্যক্তি কি ১৪৪ ধারা নিয়ে মামলা করতে পারেন?' সরকারের আইনজীবীর দাবি, 'শুভেন্দু সন্দেশখালি গেলে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্টেই এই আশঙ্কার কথা রয়েছে' ।
আরও পড়ুন : 'আমাকে ওরা মার্ডার করে দিত' নিশুতি রাতে অভিযোগকারিনীর বাড়িতেই 'পুলিশের পোশাকে হামলা'