শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা : সন্দেশখালিতে ( Sandeshkhali ) পৌঁছল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ( National Human Rights Commission ) টিম। সেই সঙ্গে শুক্রবারই সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল বিজেপির মহিলা প্রতিনিধি দল। তবে সন্দেশখালিতে যাওয়ার আগেই ভোজেরহাটে আটকে দেওয়া হয় লকেট চট্টোপাধ্যায়দের। এলাকায় ১৪৪ ধারা ( Sec 144 ) আছে, জানায় পুলিশ। তাতেই তুমুল তর্কাতর্কি বেঁধে যায় পুলিশ ও বিজেপির মহিলা প্রতিনিধি দল। এলাকায় পৌঁছনোর আগেই কেন আটকানো হচ্ছে, প্রশ্ন করেন বিজেপি প্রতিনিধিরা।
রাজ্য বিজেপির ৭ সদস্য়ের বিজেপির মহিলা প্রতিনিধি দলে রয়েছেন রাজ্য বিজেপির সহ সভানেত্রী মধুছন্দা কর, মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র, আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। সায়েন্সসিটি থেকে বাসন্তী হাইওয়ে হয়ে সন্দেশখালির দিকে এগোন তাঁরা। আগে থেকেই আশঙ্কা ছিল, একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সন্দেশখালিতে ঢুকতে অনুমতি নাও দেওয়া হতে পারে। ঘটলও ঠিক তাই। সন্দেশখালি পৌঁছনোর আগেই ভোজেরহাটে ৭ সদস্যের বিজেপির মহিলা প্রতিনিধি দলকে আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কি বেঁধে যায় লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। তারপরই লকেটকে আটক করে পুলিশ। হুগলির বিজেপি সাংসদকে নিয়ে লালবাজারে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শুক্রবারও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় সন্দেশখালির বেড়মজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। বৃহস্পতিবার ঝুপখালির পর শুক্কারবার কাছারি। শেখ শাহজাহানের ভাই সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে ভুরিভুরি অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। শুক্রবার সিরাজউদ্দিনের ভেড়ির আলাঘরে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। সিরাজউদ্দিন শেখের বিরুদ্ধে জোর জুলুম, মারধর, আবাস ও জবকার্ডের টাকা আত্মসাতের মতো গুচ্ছগুচ্ছ বিস্ফোরক অভিযোগ রয়েছে বাসিন্দাদের। লাঠি, ঝাঁটা হাতে রাস্তায় নামেন মহিলারা। গন্ডগোলের জেরে বেড়মজুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। তৃণমূলের নেতা অজিত মাইতির বাড়িতেও ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা।
আরও পড়ুন, সন্দেশখালিতে অ্যাকশনে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, 'কড়া ব্যবস্থা'র হুঁশিয়ারি
দেখুন আইডিয়াজ অফ ইন্ডিয়া ২০২৪ এই লিঙ্কে - https://events.abpverse.com/
অন্যদিকে আবার সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়িতেও ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির বাড়িতে ভাঙচুর করে স্থানীয় বাসিন্দারা। বাড়িতে ঢুকে তৃণমূল নেতার উপর চড়াও হওয়ারও অভিযোগ ওঠে। মারা হয়েছে বলে এডিজি দক্ষিণবঙ্গকে অভিযোগ করেন অজিত মাইতি। আইন হাতে তুলে নিলে গ্রেফতার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকারের।