অনির্বাণ বিশ্বাস, সন্দেশখালি: সন্দেশখালির বেড়মজুরে নতুন করে বিক্ষোভ (Sandeshkhali Protest)। এবার ICDS সেন্টারের পরিষেবা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সরব স্থানীয় মহিলারা। অভিযোগ, ICDS সেন্টারে ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারে না বলে।
ফের বিক্ষোভ সন্দেশখালিতে: মঙ্গলবারের সকালেও বদলাল ছবি না। ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালির বেড়মজুর। সকাল থেকে দম্বলপাড়ায় মহিলাদের বিক্ষোভ। ICDS কেন্দ্রের মধ্যে গোয়াল ঘর, পশুপালন করা হচ্ছে, শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রামের শিশুরা। এই অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন দম্বলপাড়ার মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, ICDS কেন্দ্রের জবরদখল করা নিয়ে নালিশ জানাতে গেলে শেখ শাহজাহান, শেখ সিরাজউদ্দিনের কথা বলে হুমকি দিতেন বেড়মজুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান তপন সর্দার।
কী অভিযোগ স্থানীয়দের?
গত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে বেড়মজুর। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ICDS সেন্টারের পরিষেবা ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। বিক্ষোভকারী এক মহিলা বলেন, "আমরা অনুরোধ করছি গোয়াল ঘর ওখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। শিক্ষামন্ত্রীকে বলছি এটা যেন পরিষ্কার করে দেয়। ভালভাবে চলুক। আমরা শান্তিতে বাঁচতে চাই। তপন সর্দারের কাছে বলে হুমকি দেয়। বলে সিরাজকে জানিয়ে দেব। আমাদের সন্তানরা যেন ওখানে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারে এটাই চাই।''
শুক্রবার থেকে বিক্ষোভের আঁচে তেতে রয়েছে বেড়মজুর। এলাকাবাসীকে শান্ত করতে, দফায় দফায় সেখানে যাচ্ছেন পুলিশ কর্তারা। গত রবিবার পুলিশ পৌঁছতেই ফের বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসী মহিলারা। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, অভিযোগ জানাতে গেলেও, উল্টে কেস দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে সোমবারও উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। তৃণমূলের নব নিযুক্ত যুগ্ম অঞ্চল আহ্বায়ক হলধর আড়ির বাড়ি লাগোয়া খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ধৃত তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির বাড়ির কাছেই হলধরের বাড়ি। অজিত মাইতিকে অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে সরানোর পর গতকালই হলধর আড়ি ও শক্তিপদ রাউতকে বেড়মজুর ১ নম্বর অঞ্চলে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে নিযুক্ত করা হয়। যদিও স্থানীয়দের দাবি, নজর ঘোরাতে তৃণমূল নেতা নিজেই তাঁর খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়েছেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: South Bengal Weather: মঙ্গলের সকালে মুখভার আকাশের, দফায় দফায় ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ