কলকাতা: বুধ ও বৃহস্পতিবারের মতো, শুক্রবারও সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ফের রাস্তায় নামলেন মহিলারা। জেলিয়াখালিতেও লাঠি, কাটারি হাতে বিক্ষোভ করতে দেখা গেল তাঁদের। জমি দখল থেকে মারধর করা। শিবু হাজরার বিরুদ্ধে হাজারও অভিযোগ তুলে ধরলেন গ্রামবাসীরা। সন্ত্রস্ত সন্দেশখালিতে জ্বলছে প্রতিরোধের আগুন।
এদিকে, গন্ডগোল থামাতে সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি। গতকাল রাত সাড়ে ৯টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছেন বসিরহাটের মহকুমা শাসক। ওই সমস্ত এলাকায় কোনও জমায়েত করলেই গ্রেফতার করবে পুলিশ। তৃণমূল ব্লক সভাপতি শিবু হাজরার বাড়ি, পোলট্রি ফার্মে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গ্রেফতার ৮। ৮ জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করেছে সন্দেশখালি থানার পুলিশ। যদিও গতকাল রাত পর্যন্ত শিবু হাজরা কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি।
ক্রমশ ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালি। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের নেপথ্য়ে কখনও সিপিএম-বিজেপির চক্রান্ত, কখনও আবার দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুললেন সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক! যদিও, তৃণমূল বিধায়কের একেবারে অন্য কথা বলছেন বিক্ষোভকারীরা। সমস্বরে তাঁদের দাবি, তাঁরা তৃণমূলের লোক!!এদিন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শোনা গেছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলায়।
এদিকে, সন্দেশখালি ও বসিরহাটে দু-তিন ধরে কিছু ঘটনা ঘটেছে, পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী আছে। তদন্ত চলছে। যারা হামলায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আট জনকে আটক করা হয়েছে। নেপথ্যে কারা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানালেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভার্মা।
আরও পড়ুন, 'আমার কোনও অভিযোগ নেই' পুলিশের ঢালাও প্রশংসা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
সন্দেশখালির অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে মত বিদ্বজ্জনদের একাংশের। দীর্ঘ দিনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের স্বতঃসফূর্ত প্রতিবাদ। সীমাহীন অত্যাচারের জেরে রুখে দাঁড়িয়েছেন মানুষ। ইডি ও সিআরপিএফের উপর হামলার এক মাস পেরিয়ে ফের অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি। জ্বলছে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের আগুন। তবে কি সন্দেশখালিতে আলগা হচ্ছে শাসকের নিয়ন্ত্রণের রাশ? প্রশ্ন উঠছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে