অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: চিতাবাঘের আতঙ্কে থমথমে চা বাগান (Tea Garden)। গবাদি পশু তো বটেই, সাধারণ মানুষও আতঙ্কে ছিল। অবশেষে ছাগলের টোপে খাঁচায় বন্দি হল চিতাবাঘ (Cheetah)। ঘটনাটি ঘটেছে কালচিনি ব্লকের দলসিংপাড়া চা বাগান এলাকায়। তবে সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, চা বাগানে আরও চিতা বাঘ লুকিয়ে নেই তো ?


শুক্রবার বাগানের ছয় নম্বর সেকশনে বন দফতরের পাতা খাঁচায় বন্দি হয় একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ। এরপর সেটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় জলদাপাড়া বনবিভাগের নিলপাড়া রেঞ্জের বনকর্মীরা।  এ বিষয়ে উল্লেখ্য বেশ কিছু দিন ধরেই চা বাগানে আতঙ্ক তৈরি করেছিল চিতাবাঘ। হামলা চালাচ্ছিল বাসিন্দাদের গবাদি পশুর উপরে। এদিন একটি চিতাবাঘ খাঁচা বন্দি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি। যদিও আরও চিতাবাঘ  চা বাগানে থাকতে পারে বলে আশঙ্কায় স্থানীয়রা।


অপরদিকে, টানা তিনমাস ধরে বাঘের ভয়ে ভুগছেন পাথরপ্রতিমার উপেন্দ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। গ্রামের মধ্যে এবার বন্য পশুর রক্তের দাগ মেলায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।গ্রামবাসীদের দাবি, বন দফতর গ্রাম লাগোয়া ধনচির জঙ্গল জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়ার পরেও বাঘের আনাগোনা টের পাওয়া যাচ্ছে। রয়্যাল বেঙ্গলের আতঙ্ক দূর করতে এবার গণস্বাক্ষর অভিযান চালালেন গ্রামবাসীরা। শ্রীধরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। বাঘ জনবসতি এলাকায় ঢুকছে না, গ্রামবাসীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছে বন দফতর। 


কথায় বলে মাঘের শীতে বাঘ পালায় ! তবে তার আগেই ফলে গেল বুঝি সেই কথা।আজ্ঞে হ্যাঁ তেমনই কিছু দৃশ্য প্রকাশ্যে এসেছিল গতবছর। একেই গত কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গে কনকনে ঠান্ডা। তার উপরে আবার তুষারপাতের সম্ভাবনাও হয়ে চলেছে। সবমিলিয়ে বন্য প্রাণীদের জন্যও বেশ কষ্টকর পরিস্থিতি যে, সেই প্রমাণই ধরা পড়েছিল এবার বন দফতরের ট্র্যাপ ক্যামেরায়। ফের বাঘ দর্শন নেওড়ায়। হাড় কাঁপানো শীতে সমতল থেকে এগারো হাজার ফুট উঁচুতে ঘুরে বেড়াচ্ছিল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger)। 


আরও পড়ুন, 'ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ..', সন্দেশখালিকাণ্ডে মন্তব্য শুভেন্দুর, পাল্টা কুণাল, ADG জানালেন..


গরুমারা জাতীয় উদ্যানের অন্তর্গত নেওড়া ভ্যালির জঙ্গলে বন দফতরের ট্র‍্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি। একবার দুবার নয়, বন দফতরের রিপোর্ট বলছে গত দুমাসে একাধিকবার দেখা মিলেছিল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের, একই বাঘ ? নাকি সংখ্যায় তারা একাধিক ? জানতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছে বন দফতর (Forest Department)।