বিজেপির সন্দেশখালি যাত্রা নিয়ে ধুন্ধমার পরিস্থিতি কলকাতায়। বিজেপি বিধায়কদের সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধা দিল পুলিশ। বাসন্তী হাইওয়েতে ঢোকার মুখেই আটকানো হল বিজেপি বিধায়কদের বাস। ৬৭ জন বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে সন্দেশখালির দিকে এগোচ্ছিল বিজেপির বাস। কিন্তু তা আটকানো হল কলকাতাতেই । এদিকে সোমবারই পরিকল্পনা মাফিক সন্দেশখালি পৌঁছেছেন রাজ্য়পাল। 


 সন্দেশখালি ঘিরে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই উত্তেজনার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে বিধানসভা থেকে সন্দেশখালিতে। রাজ্যপালের কাছে নিজেদের অভিযোগের কথা জানান মহিলারা। একের পর এক মহিলা এসে তাঁদের অভিযোগের কথা উগরে দেন রাজ্যপালের কাছে। ফুল ছড়িয়ে, শঙ্খ বাজিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয় রাজ্যপালকে। রাজ্যপালের হাতে রাখি পরিয়ে দেন সন্দেশখালির মহিলারা। মহিলাদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে যা ব্যবস্থা নেওয়ার তিনি নেবেন বলে আশ্বাস দেন রাজ্যপাল। 

সকালেই সন্দেশখালি নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভার অধিবেশন। অধিবেশন কক্ষের মাটিতেই বসে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীর 
বিবৃতির দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভা থেকে ওয়াক আউটও করেন তাঁরা। এরপর শুভেন্দু-সহ সাসপেন্ড ৬ বিধায়ককে সাসপেন্ডও করা হয়।


চলতি অধিবেশনের জন্য আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল, চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ ও নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামীকেসাসপেন্ড করা হয় । বিজেপির সমস্ত বিধায়ককে সাসপেন্ড করার দাবি জানান পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক ও বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ। মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিজেপির ৬ জন বিধায়ককে সাসপেন্ড করার আবেদন জানান।   


এদিন ‘সন্দেশখালি সঙ্গে আছি’ স্লোগান লেখা টি শার্ট পরে বিজেপি বিধায়করা সভায় আসেন। অধিবেশন কক্ষে স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা। আপত্তি জানান বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্দেশখালির ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বিধানসভার ভিতরে স্লোগান দেন বিজেপি বিধায়করা। একবার বিরোধী বেঞ্চ থেকে বাঁশির আওয়াজও শোনা যায়। পাল্টা কটাক্ষ করেন তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্র। বিজেপি বিধায়করা কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান।    


অন্যদিকে সোমবারই সন্দেশখালিতে যান রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। দলে ছিলেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ও আরও এক সদস্য। কথা বলেন মহিলাদের সঙ্গে। পুলিশের বিরুদ্ধেও রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের কাছে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা।  


আরও পড়ুন:          


শীতের আমেজ বাড়ছে উত্তরবঙ্গে, কত দিন স্থায়ী হবে?