রুমা পাল, কলকাতা: কিছুদিন বাদেই লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) দিন ঘোষণা হয়ে যাবে। তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনও (Election Commission)। এদিকে লোকসভা ভোটের আগে উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। প্রতিদিনই একাধিক ঘটনা নানা অভিযোগ, জনরোষ প্রকাশ্যে আসছে। এরই মধ্যে সন্দেশখালিতে বিশেষ নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন, এমনটাই জানা গিয়েছে।                                                                      


সন্দেশখালির প্রতিদিনের রিপোর্ট চাইছে কমিশন। অন্যান্য জেলারও সার্বিক রিপোর্ট তলব সিইও দফতরের। সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে একাধিক জেলায় অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এই প্রেক্ষাপটে কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিশেষ নজর কমিশনের, এমনটাই খবর। ২৮ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। তার আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি সব জেলার ডিএম ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক কমিশনের। 


এদিকে, লোকসভা ভোটে গোটা দেশের মধ্যে বাংলার জন্যই সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে পাঠানো চিঠিতে কমিশন জানিয়েছে, লোকসভা ভোটে বাংলায় তারা ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে চায়। ইঙ্গিতপূর্ণ বিষয় হল, বাংলার পরেই সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী জঙ্গি উপদ্রুত জম্মু কাশ্মীরের জন্য চেয়েছে জাতীয় কমিশন ৬৩৫ কোম্পানি।


দেশের সবচেয়ে বেশি লোকসভা আসন যে রাজ্যে, বাংলার প্রায় দ্বিগুণ, সেই উত্তরপ্রদেশের জন্যও বাংলার চেয়ে কম কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে কমিশন। ২৫২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। মাওবাদী উপদ্রুত ছত্তীসগঢ়ের জন্য চেয়েছে ৩৬০ কোম্পানি। হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরের জন্য কমিশন চেয়েছে ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। 


আরও পড়ুন, সিংহীর নাম বদলের মামলা উঠল হাইকোর্টে, নতুন নাম রাখার নির্দেশ


অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী প্রায় ৯২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী লোকসভা ভোটের সময় পশ্চিমবঙ্গে থাকতে পারে। গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় মোতায়েন করা হয়েছিল ৭৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। 


এদিকে এরই মধ্যে সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে বিশেষ নজর দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।            


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে