সমীরণ পাল, ন্যাজাট : শাহজাহান মামলার সাক্ষীর গাড়িতে ধাক্কা, পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। 'ঘাতক ট্রাকের চালকের আসনে ছিল গোলাম হোসেন মোল্লা'। 'ভোলানাথ ঘোষকে খুনের জন্য গোলামকে ৫ লক্ষ টাকা সুপারি'। 'গোলামকে ৫ লক্ষ টাকা সুপারি দিয়েছিল আলিম মোল্লা'। 'ঘটনার আগের দিন নজরুল মোল্লার থেকে ট্রাকের চাবি নেয় আলিম'। 'এরপর গোলামকে ট্রাকের চাবি তুলে দেয় শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আলিম'। 'গোলাম আগের রাতেই ট্রাকটিকে মল্লিক পাড়া থেকে শিরিষ তলায় নিয়ে আসে'। 'বাসন্তী হাইওয়ের ওপর গোটা রাত সেখানেই অপেক্ষায় ছিল গোলাম'। 'ঘটনার দিন ধৃত কুদ্দুসের সঙ্গে টানা ফোনে যোগাযোগ রাখছিল গোলাম'। 'গাড়িতে ধাক্কার পর একসঙ্গে বাইকে চেপে চম্পট গোলাম ও কুদ্দুসের'। 'কলুপাড়ার দিকে পালানোর সময় মাছের ভেড়িতে মোবাইল ফেলে দেয় অভিযুক্তরা'। শাহজাহান মামলার সাক্ষীর গাড়িতে ধাক্কা, পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত আলিম মোল্লা।          

Continues below advertisement

এই গোলাম মোল্লাকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পুলিশের দাবি ছিল, জেরায় ধৃত জানিয়েছিল যে, ঘটনার দিন সে ছিল ওই ঘাতক ট্রাকের খালাসি। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি অনুযায়ী, ঘটনার দিক ট্রাকে ছিল শুধু চালকই। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে কি ঘটনার দিন এই গোলাম মোল্লাই ট্রাক চালাচ্ছিল? এখনও পর্যন্ত ন্যাকাটকাণ্ডে মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে উত্তম সর্দার, রুহুল কুদ্দুস তরফদার এবং গোলাম মোল্লার নাম নেই এফআইআর- এ। গ্রেফতার হওয়া চতুর্থ ব্যক্তি নজরুল মোল্লার নাম ছিল এফআইআর- এ। তার ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।            

শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে চলা সিবিআই মামলার অন্যতম সাক্ষী ভোলানাথ ঘোষের গাড়িতে বাসন্তী হাইওয়ের উপর ধাক্কা মেরেছিল একটি ট্রাক। এই ঘটনায় ভোলানাথ ঘোষের ছোট ছেলে সত্যজিৎ এবং গাড়ির চালকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ৮ জনের নামে এফআইআর দায়ের করেন ভোলানাথ ঘোষ। তাদের মধ্যে থেকে নজরুল মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এফআইআর- এ নাম থাকা আর কেউই গ্রেফতার হয়নি এখনও। প্রথম থেকেই ভোলানাথ ঘোষ এবং তাঁর পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়। খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আর তা করেছে জেলবন্দি শেখ শাহজাহান, যার বিরুদ্ধে চলা সিবিআই- এর মামলারই অন্যতম সাক্ষী এই ভোলানাথ ঘোষ।   

Continues below advertisement