সন্দেশখালি: সন্দেশখালিতে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনায় চার বিজেপি কর্মী গ্রেফতার। ভুয়ো ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে শাসক বিধায়কের সামনেই গতকালই তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মারধর করা হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সন্দেশখালি থানা গতকালই ঘেরাও করেছিল বিজেপি, তার পর বাড়ি থেকে বের করে এনে তৃণমূল নেতাকে মাটিতে ফেলে লাঠিপেটা করা হয়। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হল চার জনকে। (Sandeshkhali Situation)
রবিবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় সন্দেশখালিতে। ডাকাতির ঘটনায় বিজেপি কর্মীর গ্রেফতারির বিরুদ্ধে প্রথমে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এর পর, থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে একটি বাড়িতে চড়াও হন বিজেপি-র মহিলা কর্মীরা। ওই বাড়িতে সেই সময় বৈঠক করছিলেন তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক এবং বিধায়ক সুকুমার বিধায়ক। সেখানে কার্যত পণবন্দি করে রাখা হয় তাঁদের। (Sandeshkhali Viral Video)
এর পর ওই বাড়ি থেকে তাতান গায়েন নামের স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে টেনে বের করে আনেন বিজেপি-র মহিলা কর্মীরা। তাঁকে মাটিতে ফেলে লাঠি, গাছের ডাল দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। দিলীপের গায়েও হাত তোলা হয় বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, অন্যায় ভাবে তাঁদের ভিডিও রেকর্ড করে ভাইরাল করে দেওয়া হচ্ছে। ওই বাড়ি থেকেই ভুয়ো ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়।
এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ এবং RAF নামাতে হয়। বিষয়টি নিয়ে রাতে সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দিলীপ। অভিযোগ পেয়ে রাতেইতদন্ত শুরু হয়। রাতভর তল্লাশি চালিয়ে চার বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাঁদের মধ্যে রয়েছে একজন মহিলাও। সোমবার তাঁদের বসিরহাট আদালতে তোলা হবে।
হামলার ঘটনায় গতকালই সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন তাতান। তিনি বলেন, "বিজেপি আশ্রিত লোকজন, বিজেপি কর্মীরা এই কাজ করছে। আমি দিলীপের সঙ্গে ঘুরতাম, তৃণমূলের প্রচার করতাম। তাই আমার উপর হামলা করা হয়েছে।" দিলীপ জানা, যে ভাইরাল ভিডিও নিয়ে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে, তাতে বিজেপি-র মণ্ডল সভাপতিই মুখ খুলেছেন, টাকার বিনিময়ে মিথ্যে ধর্ষণের অভিযোগ দায়েরের কথা জানিয়েছেন তিনি। তাই তাঁকে জিজ্ঞেস করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।