Sandhya Mukhopadhyay Demise: গান স্যালুটে গীতশ্রীকে চিরবিদায়
Sandhya Mukhopadhyay Passes Away: ১৯৩১-এর আশ্বিন মাসে শিউলি ঝরা সময়ে জন্ম তাঁর। তাঁর বাবা নরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ও ছিলেন সু-গায়ক। দুর্দান্ত টপ্পা গাইতেন তাঁর মা হেমপ্রভা দেবী।
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর প্রায় চার দশকের সান্নিধ্যস্মৃতির ঝাঁপি থেকে মণিমুক্তো তুলে আনলেন স্বপন মুখোপাধ্যায়। সুরসাধিকার আপ্ত সহায়ক। স্মৃতির ইন্দ্রধনু থেকে বেরিয়ে এল সোনাঝরা দিনের ছটা।
সন্ধ্যা যখন মুম্বই যেতেন, তখন লতা প্রায়শই এভারগ্রিন হোটেলে তাঁর কাছে চলে আসতেন। লতা একলাই আসতেন। কখনও আবার তাঁর সঙ্গে থাকতেন সুরকার রোশন, সি রামচন্দ্র। লতার সঙ্গে গান নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দিতেন সন্ধ্যা।
লতা মঙ্গেশকর এবং সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। আজীবন দু’জন দু’জনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। খ্যাতির শিখরে পৌঁছেও, সেই বন্ধুত্বে চিড় ধরেনি। মাত্র ন’দিনের ব্যবধানে অন্য সুরলোকে দুই বন্ধু।
আশ্বিনের ভোরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে মহিষাসুরমর্দিনী। আর তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠ। এই অনুষ্ঠান যখন লাইভ হত, তখন অন্যান্য শিল্পীদের মতো প্রতিবছর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন গান গাইতেন তিনি। গীতশ্রীর প্রয়াণের পর সেই সব স্মৃতি ভিড় করছে অনেকের মনে।
এক সময় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে বেলুড়মঠে নিয়ে গিয়েছিলেন সুচিত্রা সেন। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দের সঙ্গে একাধিক অনুষ্ঠান করেছেন শিল্পী। আজ স্মৃতিতে এরকম নানা কথা উঠে আসছে তাঁর আপ্তসহায়কের।
কারও গুরু বোন। কারও পারিবারিক সম্পর্ক। আজ রবীন্দ্র সদনে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানান বিশিষ্টরা। গীতশ্রীকে শ্রদ্ধা জানান সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপির নেতারাও।
গান স্যালুটে চিরবিদায়। চোখের জল...আক্ষেপ...প্রিয়জন হারানোর বেদনা। সব পিছনে ফেলে পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেলেন গীতশ্রী। সুরলোকে চলে গেলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। চিরতরে বিদায় নিলেন! শুধু রয়ে গেল তাঁর সুর।
অন্য সুরলোকে 'সন্ধ্যা' তারা। গান স্যালুটে গীতশ্রীকে শেষ বিদায়...
তারার দেশে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। রবীন্দ্রসদন থেকে কেওড়াতলা পর্যন্ত গীতশ্রীর শেষযাত্রায় অসংখ্য অনুরাগীর সঙ্গে পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী
গাড়িতে গীতশ্রীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। রাস্তার দু'ধারে ভিড় জমিয়েছেন অসংখ্য ভক্ত।
শেষযাত্রায় গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। পা মিলিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবীন্দ্রসদন থেকে বের করা হল 'গীতশ্রী'র মরদেহ। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে শেষযাত্রা।
তারার দেশে সন্ধ্যা। রবীন্দ্রসদনে শেষশ্রদ্ধা জানালেন অসংখ্য অনুরাগী।
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানাতে রবীন্দ্রসদনে মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ণ মর্যাদায় আজ গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
মাথার উপর ছাদ হারিয়ে গেল, প্রতিক্রিয়া হৈমন্তী শুক্লার। মায়ের মতো ছিলেন, বললেন অরুন্ধতী। কেমন আছি জিজ্ঞাসা করার কেউ রইলেন না, আক্ষেপ আরতির
পূর্ণ মর্যাদায় আজ গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। পিস ওয়ার্ল্ড থেকে মরদেহ যায় রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমিতে। সেখানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে রবীন্দ্রসদনে। বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রবীন্দ্র সদনে শায়িত থাকবে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন অনুরাগীরা। শেষকৃত্যে যোগ দিতে উত্তরবঙ্গ সফর কাটছাঁট করে ফিরছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে গান স্যালুটে জানানো হবে শেষ শ্রদ্ধা।
শেষকৃত্যে যোগ দিতে উত্তরবঙ্গ সফর কাটছাঁট করে ফিরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে গান স্যালুটে জানানো হবে শেষ শ্রদ্ধা।
কেওড়াতলা মহাশ্মশানে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে গান স্যালুটে জানানো হবে শেষ শ্রদ্ধা! শেষ যাত্রায় সামিল তাঁর কন্য়া সৌমী । শোকে ভেঙে পড়লেন তিনি।
রবীন্দ্র সদনে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পাশাপাশি বাপি লাহিড়িকেও রাজ্য সরকারের তরফে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। একতারা মুক্তমঞ্চে বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাখা থাকবে বাপি লাহিড়ির ছবি। ভারতীয় সঙ্গীত জগতের ডিস্কো কিং-কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন অনুরাগীরা।
পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আজ গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। পিস ওয়ার্ল্ড থেকে মরদেহ যাবে রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমিতে। সেখানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রবীন্দ্র সদনে শায়িত থাকবে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ।
বিকেল ৫টা পর্যন্ত রবীন্দ্র সদনে শায়িত থাকবে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন অনুরাগীরা। শেষকৃত্যে যোগ দিতে উত্তরবঙ্গ সফর কাটছাঁট করে ফিরছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে গান স্যালুটে জানানো হবে শেষ শ্রদ্ধা।
পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আজ গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। পিস ওয়ার্ল্ড থেকে মরদেহ গেল রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমিতে। সেখানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রবীন্দ্র সদনে শায়িত থাকবে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ।
বুধবার বেলা ১২টা থেকে রবীন্দ্রসদনে শায়িত থাকবে গীতশ্রীর নশ্বর দেহ। এখানে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন অনুরাগীরা।
প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী-সুরকার বাপি লাহিড়ি। মুম্বইয়ের হাসপাতালে জীবনাবসান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর। ১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্ম বাপি লাহিড়ির। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি দু জনেই ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী।
বাংলার সঙ্গীত হারাল ইন্দ্রধনু। প্রয়াত গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু। সাংস্কৃতিক জগতে বড় ক্ষতি, ট্যুইট মোদির। ভারতের রত্ন, প্রতিক্রিয়া মমতার। গানের জগতে মাতৃবিয়োগ, বললেন মাধবী। বাংলার সরস্বতীকে হারালাম। প্রতিক্রিয়া অজয় চক্রবর্তীর।
উত্তরবঙ্গ সফর কাঁটছাঁট করে কলকাতায় ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী। বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫ পর্যন্ত দেহ থাকবে রবীন্দ্রসদনে। পূর্ণ মর্যাদায় শেষকৃত্য, এবিপি আনন্দকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
সঙ্গীত জগতে আবার ইন্দ্রপতন! প্রয়াত হলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। কোভিডকে হারালেও, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জীবনযুদ্ধে হেরে গেলেন ৯০ বছরের কিংবদন্তী। ২৭ জানুয়ারি থেকে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, আজ হঠাৎ করেই শিল্পীর রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল। অস্ত্রোপচারের অংশে নতুন করে ব্যথা অনুভব করছিলেন তিনি। সন্ধে সাড়ে সাতটায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন বাংলা সঙ্গীত জগতের নক্ষত্র।
লতা মঙ্গেশকর এবং সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। আজীবন দু’জন দু’জনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। খ্যাতির শিখরে পৌঁছেও, সেই বন্ধুত্বে চিড় ধরেনি। মাত্র ন’দিনের ব্যবধানে অন্য সুরলোকে চলে গেলেন সেই দুই বন্ধু।
আশ্বিনের ভোরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে মহিষাসুরমর্দিনী। আর তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠ। এই অনুষ্ঠান যখন লাইভ হত, তখন অন্যান্য শিল্পীদের মতো প্রতিবছর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন গান গাইতেন তিনি। গীতশ্রীর প্রয়াণের পর সেই সব স্মৃতি ভিড় করছে অনেকের মনে।
মাথার উপর ছাদ হারিয়ে গেল, প্রতিক্রিয়া হৈমন্তী শুক্লার। মায়ের মতো ছিলেন, বললেন অরুন্ধতী হোম চৌধুরী। খুব খারাপ লাগছে, প্রতিক্রিয়া রাশিদ খানের।
রাজ্য সরকারের সঙ্গীত অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান ছিলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কাল বেলা ১২টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মরদেহ রাখা থাকবে রবীন্দ্রসদনে। পূর্ণ মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে উত্তরবঙ্গ সফর কাটছাঁট করে ফিরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি ট্যুইটারে লিখেছেন, "কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী বঙ্গবিভূষণ গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অতুলনীয় মমতা ও দেশপ্রেম প্রকাশ করেছেন জাতীয় পুরষ্কারজয়ী সঙ্গীতশিল্পী। তাঁর মৃত্যু সঙ্গীত জগতে অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর পরিবার এবং অসংখ্য অনুরাগীদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। ওম শান্তি!''
সুর থামল সন্ধ্যায়। চলে গেলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। প্রিয় শিল্পীর প্রয়াণে শোকের ছায়া অনুরাগী থেকে সঙ্গীত মহলে। স্মৃতি হাতড়ে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কথা তুলে ধরলেন সঙ্গীতশিল্পী শিবাজি চট্টোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, 'আমি কারও সঙ্গে ওনার তুলনা করছি না। এরকম শিল্পী সারা দেশে হয় না। একজন উঠতি শিল্পীকেও ফোন করতেন। জিজ্ঞাসা করতেন কী গান করছেন। সবার জন্য ওনার স্নেহ বা পরামর্শ দেওয়ার একটা আলাদা বিষয় ছিল।'' এখানেই থেমে থাকেনি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে শিল্পীর স্মৃতিচারণা।
গানের সঙ্গেই কেটে গেল তাঁর সারাটা জীবন। তাঁর গান যেন সন্ধ্যার মেঘমালা হয়েই চিরদিনের জন্য রয়ে গেল বাঙালির হৃদয়ে। গানে গানেই তো তিনি শুনিয়েছিলেন ..‘জানি না ফুরাবে কবে এই পথ চাওয়া।’ সুরের রাজপথে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় চিরকালের সাম্র্যাজ্ঞী। তাঁর গান অক্ষয়, অবিনশ্বর।
নক্ষত্র পতন, ছন্দপতন। গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সকল কাছের মানুষের জন্য আমার আন্তরিক সমবেদনা রইলো। ট্যুইটে শ্রদ্ধা প্রসেনজিৎ-এর
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, 'প্রয়োজনে আজ রাতে পিস ওয়ার্ল্ডে রাখা হবে দেহ। কাল ১২টা নাগাদ মরদেহ নিয়ে রবীন্দ্র সদনে রাখা হবে। ৫টা পর্যন্ত সেখাানেই শায়িত থাকবে দেহ। সেখানে সম্মান জানানো যাবে। আগামিকাল রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে শেষকৃত্য হবে।'
উত্তরবঙ্গ সফর কাঁটছাঁট করে কালই কলকাতায় ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী। শেষশ্রদ্ধা জানানোর জন্য কাল বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫ পর্যন্ত দেহ থাকবে রবীন্দ্রসদনে। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের খবর পেয়ে আবেগ বিহ্বল হয়ে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ সফর কাটছাঁট করে শিল্পীর শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য আগামী কালই কলকাতায় ফিরে আসছেন তিনি। শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া নিয়েছেন সুমন দে।
কোনও ভাষা তো নেই। সবাই একদিন পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবেন কিন্তু দুঃখজনক। তিনি আমার গুরু বোন ছিলেন। দীর্ঘদিন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, সুচিত্রা সেন, উত্তম কুমার একসঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল। যাওয়ার আগে দুঃখও পেয়ে গিয়েছেন। খুব খারাপ লেগেছে। ওঁর প্রতি শ্রদ্ধা কোনও ভাষা দিয়ে ব্যক্ত করার নয়। গানের স্বপ্ন দেখাবার মানুষ চলে গেলেন। অপূরণীয়। বাংলার আকাশে মাতৃসুলভ নক্ষত্রের পতন। ওঁকে কেউ নিয়ে যেতে পারবে না। উনি অমর হয়ে থাকবেন।
উনি ভারতের রত্ন। কাল বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫ পর্যন্ত দেহ থাকবে রবীন্দ্রসদনে, পূর্ণ মর্যাদায় হবে শেষকৃত্য। কাল কলকাতায় ফিরছি। এবিপি আনন্দকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
গানের জগতে মাতৃবিয়োগ, বললেন মাধবী মুখোপাধ্যায়। বাংলার সরস্বতীকে হারালাম। প্রতিক্রিয়া অজয় চক্রবর্তীর। মাথার উপর ছাদ হারিয়ে গেল, প্রতিক্রিয়া হৈমন্তী শুক্লার।
রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে আগামীকাল শেষকৃত্য গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের (Sandhya Mukhopadhyay Demise)। এবিপি আনন্দের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি জানান, "প্রয়োজনে আজ রাতে পিস ওয়ার্ল্ডে রাখা হবে দেহ। কাল ১২টা নাগাদ মরদেহ নিয়ে রবীন্দ্র সদনে রাখা হবে। ৫টা পর্যন্ত সেখাানেই শায়িত থাকবে দেহ। সেখানে সম্মান জানানো যাবে। আগামীকাল রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে শেষকৃত্য হবে।''
প্রয়াত গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। জানালেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। ট্যুইট করে জানালেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।
প্রেক্ষাপট
Sandhya Mukhopadhyay Passes Away: বাংলা গান আর শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের এক সোনালি আকাশে সন্ধ্যা ঘনাল। নিভল আলো। চলে গেলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukherjee)।
১৯৩১-এর আশ্বিন মাসে শিউলি ঝরা সময়ে জন্ম তাঁর। তাঁর বাবা নরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ও ছিলেন সু-গায়ক। দুর্দান্ত টপ্পা গাইতেন তাঁর মা হেমপ্রভা দেবী। মা-বাবার কাছেই ছোটবেলায় সুরের তালিম শুরু। গল্পদাদুর আসরে গান গেয়ে পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন পাঁচ টাকা।
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রথম শিক্ষাগুরু ছিলেন যামিনী গঙ্গোপাধ্যায় (Yamini Ganguly)। ছ’বছর তাঁর কাছে তালিম নিয়েছিলেন সন্ধ্যা (Samdhya Mukherjee)। এরপর নিজের বড়দা রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের কাছে তিনি ইচ্ছেপ্রকাশ করেন, বড়ে গুলাম আলি খানের কাছে গান শিখতে চান। তাঁর আবদার রাখতে, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বড়দা জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের কাছে যান। সেই সময় জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের বাড়িতে ছিলেন বড়ে গুলাম আলি খান। কিছুদিন বাদে বড়ে গুলাম আলি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে গানের তালিম দিতে সম্মতি জানান। সন্ধ্যার হাতে লাল সুতো বেঁধে মুখে তুলে দিয়েছিলেন গুড় আর ছোলা।
এর পর থেকে বড়ে গুলাম আলি খানকে বাবা বলেই সম্বোধন করতেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। বড়ে গুলাম আলি খানের একটি কথা সারাজীবনের জন্য দাগ কেটে গিয়েছিল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মনে, ‘কেউ যদি নিষ্ঠাভরে একটি রাগ সঠিক ভাবে গাইতে পারে, তাহলে তার সঙ্গীতশিক্ষা সার্থক।’ জৌনপুরী, মালকোশ, গাউতি, জয়জয়ন্তী, ইমন, বাগেশ্রী..আরও কত রাগের তালিম নিতে নিতেই বড়ে গুলাম আলি খানের গান তাঁর চেতনায় ঢুকে গিয়েছিল।
বেগম আখতার নিজের হাতে তানপুরা বাঁধতে শিখিয়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে (Sandhya Mukherjee)। বেগম আখতারের গানের সঙ্গে তানপুরায় সঙ্গতও করেছেন তিনি। বাংলায় পুজোর গানকে এক অকল্পনীয় উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। আশ্বিনের ভোরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে মহিষাসুরমর্দিনী। আর তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠ। এই অনুষ্ঠান যখন লাইভ হত, তখন অন্যান্য শিল্পীদের মতো প্রতিবছর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন গান গাইতেন তিনি। গীতশ্রীর প্রয়াণের পর সেই সব স্মৃতি ভিড় করছে অনেকের মনে।
লতা মঙ্গেশকর এবং সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। আজীবন দু’জন দু’জনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। খ্যাতির শিখরে পৌঁছেও, সেই বন্ধুত্বে চিড় ধরেনি। মাত্র ন’দিনের ব্যবধানে অন্য সুরলোকে চলে গেলেন সেই দুই বন্ধু।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -